বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ!

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় কিয়েভ ও পশ্চিমাদের উত্থাপিত শান্তি পরিকল্পনা রাশিয়া নাকচ করে দিয়েছে। এই ইস্যুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর বাগ্বিতণ্ডা একপর্যায়ে তুমুল আকার ধারণ করে।

বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে এমনিতেই মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে। যুদ্ধের ফলে অর্থনীতি আরো মন্দার দিকে ঝুঁকবে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে, এই পরিস্থিতি কাম্য নয়। তা ছাড়া প্রশ্ন ওঠেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এখন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে।

ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের উত্থাপিত এ শান্তি পরিকল্পনা প্রকৃত অর্থে ‘গন্তব্যহীন’ বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। জবাবে মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেন, ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে এবং ইউক্রেনের জনগণকে বশে আনতে এ যুদ্ধ পুতিনের একরোখা মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে তুরস্কের বাধার মুখে এখনো আটকে আছে ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ লাভ।

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা কতটুকু বাড়তে পারে, তা এখনো অস্পষ্ট। মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, টানাপড়েন চলছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর অনুপ্রবেশ নিয়ে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এবং পরবর্তী নির্বাচনে জো বাইডেনের পুনরায় অংশগ্রহণ বিঘ্নিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তঅর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বর্তমানে বেশ উত্তপ্ত।

রিপাবলিকান দলের সিংহভাগ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা নিরাপত্তা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করছে। ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে সহায়তা করলে তা মার্কিন নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে বলে রিপাবলিকান সূত্রে জানা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে এই যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়া প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কতটুকু সামর্থ্য ও আয়ত্তের মধ্যে থাকবে, তাও এখন তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের চিন্তার কারণ। এই যুদ্ধের ব্যয়ভার বহনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় একাধিক দেশে আগ্রহের কমতি দেখা যাচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে চিনি ও জিরা এনে মজুত করার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি