উত্তেজনার অবসান, আরও শক্ত হবে ইরান-পাকিস্তান ভ্রাতৃত্বের বন্ধন
ছবি: সংগৃহীত
ইরান-পাকিস্তান দ্বন্দের জেরে পাল্টাপাল্টি হামলায় কয়েক দিনের উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার–উল–হক কাকারের কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে।
কাকার বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যে ‘ছোটখাটো অস্বস্তি’ তৈরি হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া যাবে।
এসময় ইরানকে ‘ভাইয়ের মতো’ বলে উল্লেখ করে কাকার দুই দেশের সু-সম্পর্কের পূর্বদৃষ্টান্ত স্মরণ করিয়ে দেন। এ সময় পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার সময় দেশের বাইরে থাকলেও দেশে ফিরেই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)-এর সঙ্গে বৈঠক করেন কাকার।
নিরাপত্তা বৈঠকে এ বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী সেনাদের প্রশংসাই করেছেন। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপরে হস্তক্ষেপ যে মেনে নেওয়া যাবে না সে বিষয়ে সরকার এবং সেনাবাহিনী একমত।
পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার অবসান হয়েছে। এই দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশ আবারও নিজেদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে বহুবার। এ কারণে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অভিন্ন। এই অভিন্ন অবস্থান বাস্তবায়নে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে দুই দেশের নেতারা তাগিদ দিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি টেলিফোনে কথা বলেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানের নিরাপত্তাকে নিজের নিরাপত্তা বলে মনে করে। ইসলামাবাদ চায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপগুলো আরও বেশি সমন্বয়ের ভিত্তিতে নিজ নিজ দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমেই সম্পন্ন হোক।
এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার অবসান ঘোষণা করেছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইরানের হামলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান। এরপর বৃহস্পতিবার ইরানের ওপর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। ওই হামলায় অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইরানের।
হামলা-পাল্টা হামলার কারণে দু’দেশের কূটনৈতিক প্রত্যাহারসহ সম্পর্কে ফাটল ধরে।