নিলামে ২ কোটি রুপিতে বিক্রি হলো দাউদ ইব্রাহিমের পৈতৃক সম্পত্তি
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের জব্দ করা পৈতৃক বাড়ি এবং তার পরিবারের আরও তিনটি সম্পত্তি নিলামে তুলে বিক্রি করেছে দেশটির প্রশাসন। নিলামে মোট ২ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের রত্নগিরির মুমবেক গ্রামের এসব সম্পত্তি ।
মহারাষ্ট্রের ওই বাড়িসহ দাউদদের পরিবারের ওই তিন সম্পত্তি দাউদের মা আমিনা বাইয়ের নামে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সফেমা অ্যাক্টের আওতায় ওই বাড়ি নিলাম করা হয়েছে।
জানা গেছে, চারটি সম্পত্তির মধ্যে ২টি সম্পত্তি কেনার জন্য ৪ থেকে ৩ জন দরদাম করেছেন। এই সম্পত্তির ভিত্তিমূল্য ছিল ১৫ হাজারের।
দাউদ ইব্রাহিমের ওই পারিবারিক সম্পত্তি কিনেছেন সাবেক শিবসেনা নেতা ও আইনজীবী অজয় শ্রীবাস্তব। ওই সম্পত্তিতে সনাতন পাঠশালা গড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি।
এর আগেও মুমবেক গ্রামে দাউদের পৈতৃক বাড়িসহ আরও কিছু সম্পত্তি কিনেছেন অজয় শ্রীবাস্তব।
রত্নগিরির মুমবেকে দাউদের গ্রামের বাড়ি, চাষের জমি মিলিয়ে মোট রিজার্ভ প্রাইস ছিল ১৯.২২ লাখ। নিলামে থাকা সম্পত্তির দুটি অংশ বিক্রি হয়নি। ১,৭৩০ বর্গমিটারের যে জমি ছিল, তার রিজার্ভ প্রাইস ছিল ১.৫৬ লাখ; সেটি বিক্রি হয়েছে ৩.২৮ লাখে রুপিতে। ১৭০.৯৮ বর্গমিটারের আরও একটি জায়গা, যার রিজার্ভ প্রাইস ১৫,৪৪০ টাকা ছিল, তা ২.০১ কোটিতে বিক্রি হয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিমের পরিবারের সম্পত্তি যে এই প্রথম নিলামে উঠল, তা নয়। এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালে দাউদের পরিবারের ১৭টি সম্পত্তিও নিলামে ওঠে। সেবারও সাফেমা অ্যাক্টের আওতায় ওই সম্পত্তি নিলাম হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির মুমবেক গ্রাম থেকে আসে মুম্বাইয়ে আসে দাউদের পরিবার। মুম্বাইয়ে ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চের সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারী ধরা হয় দাউদকে। ওই হামলায় ২৫৭ জন নিহত হন, আহত হন সাত শতাধিক মানুষ। এরপরই দেশ ছেড়ে পালান দাউদ।
উল্লেখ্য, গত বছরে ডিসেম্বরে খবর চাউর হয়েছিল যে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পাকিস্তানের করাচির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম। এ নিয়ে তখন তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে পরে জানা যায়, ওই খবর গুজব ছিল।