বোমার চেয়েও রোগে বেশি ফিলিস্তিনি মারা যেতে পারেন: ডব্লিউএইচও
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি সংস্কার না করা হয় তাহলে বোমার আঘাতের চেয়েও রোগে বেশি ফিলিস্তিনি মারা যেতে পারেন। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের রোগ।
এদিকে গত শুক্রবার শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি সোমবার (২৭ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। যদিও দুই পক্ষ আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে বন্দিবিনিময় করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে কাতার।
তবে বিভিন্ন দেশ থেকেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি উঠেছে। বলা হচ্ছে, গাজায় যে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে যুদ্ধবিরতি আরও দীর্ঘ হওয়া প্রয়োজন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যদি হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৭ জন সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সিপিজে জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাসের সংঘাত শুরুর পর থেকে ৫৭ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা