গোয়েন্দা স্যাটেলাইটে পেন্টাগন-হোয়াইট হাউসের ছবি দেখলেন কিম
স্পেস এজেন্সির কর্মকর্তাদের সাথে কিম। ছবি : সংগৃহীত
বৈশ্বিক কক্ষপথে প্রথমবারের মতো গেয়োন্দা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এবার সেই গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউস ও দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের ছবি তুলেছে। আর সেসব ছবি দেখেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের পাঠানো এসব ছবি দেখেছেন কিম জং উন। এটি হোয়াইট হাউস, পেন্টাগনসহ নরফক নৌঘাঁটিতে বিমানাবাহী রণতরীর ছবি পাঠিয়েছে। এ সময় বিশ্বকে নতুন বার্তা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, আমরাও তোমাকে দেখতে পারি।
গত সপ্তাহে নিজেদের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি নজরদারির জন্য এটিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পেন্টাগন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরও নজরদারি চালিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, পিয়ংইয়ং এখনও পর্যন্ত এসব অঞ্চেলে নজরদারি করলেও তারা এসবের কোনো ছবি প্রকাশ করেনি। ফলে এটির সক্ষমতা আসলে কতটা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পর এখনও এটির কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
ওই সময়ে কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ মুখপো, কুনসান, পিইংটেক এবং ওসান শহরের ছবি পরীক্ষা করেছেন। এসব এলাকায় মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। শুক্রবার সকালে স্যাটেলাইটটি এ অঞ্চল অতিক্রম করার সময় ছবিগুলো তুলেছে।
শুক্রবার কিম নিজে উত্তর কোরিয়ার জাতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এসব ছবি পর্যবেক্ষণ করেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ স্যাটেলাইটটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনশনের ছবিও তুলে পাঠিয়েঠে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের একটি বন্দরে গত মঙ্গলবার এসে পৌঁছেছে। এরপর এটি শনিবার সকালে এটি হাওয়াই পাড়ি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এ গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর ওকিনাওয়া জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে সতর্কতা জারি করে জাপান, যা ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল। এরপর এ সতর্কবার্তা তুলে নেয় জাপান। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপটিকে জাতিসংঘের একাধিক রেজুলেশনের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।