ইসরায়েলি জাহাজ দেখলেই হামলার হুমকি ইয়েমেনের
ইসরায়েলি জাহাজ ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় নির্বিাচার হামলার প্রতিবাদে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ওপর হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি বলেছেন, তার যোদ্ধারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের কোনো জাহাজ দেখলেই সেটিতে হামলা চালাবে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হুথিদের নেতা আবদুল মালেক আল হুতি বলেন, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নজরদারি করছে। ইসরায়েলের পতাকা বহন করে না এমন জাহাজের ওপর নজর রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
আল মাশিরাহ টিভিকে তিনি বলেন, আমরা লোহিত সাগরে নজরদারি করছি। এ নৌপথে ইসরায়েলের জাহাজের ওপর আমাদের তীক্ষ্ণ নজর ও অনুসন্ধান চলছে। তিনি আরও বলেন, শত্রুরা এ অঞ্চলে বিশেষ করে বাব আল মানদেবে ছদ্মবেশে চলাচল করছে। তারা নিজেদের পতাকা উড়িয়ে চলার সাহস করছে না। এমনকি এ অঞ্চলে চিহ্নিতকরণ সরঞ্জাম বন্ধ করে তারা চলাচল করছে।
হুতির এ নেতা বলেন, আমরা খোঁজ করছি এবং তাদের জাহাজের বিষয়টি যাচাই করছি। তাদের জাহাজ পেলে আমরা হামলা চালাতে পিছপা হবো না।
এদিকে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বক্তব্য দিয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ। ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এই বক্তব্যে নতুন একটি অস্ত্র বের করার তথ্য সামনে আনেন তিনি।
নাসরাল্লাহ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অভিযান ও হামলার পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ। ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে প্রথমবারের মতো উত্তর ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত শমোনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহ। এ হামলায় চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
তিনি জানান, এসব হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালাতে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহ তাদের তৎপরতা না থামালে গাজার মতো পরিণতি হবে লেবাননের রাজধানী বৈরুতও। তবে ছেড়ে কথা বলছে না ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তারা বলছে, যে কোনো সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে হিজবুল্লাহও প্রস্তুত আছে। কিন্তু সংগঠনটি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে রাজনৈতিকভাবে কত দিন এবং কতটা পিছিয়ে থাকবে তা সম্ভবত নির্ভর করবে ইরান ও নাসরাল্লাহর ওপর।