এবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হামাস
ছবি: সংগৃহীত
টানা এক মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও।
এর মধ্যেই চলমান এই সংঘাত পেয়েছে নতুন মাত্রা। গাজার পাশাপাশি এবার লেবানন থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হামাস। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলে সিরিজ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। সোমবার (৬ নভেম্বর) টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাসের কাসাম ব্রিগেডের লেবানন শাখা বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলি শহর নাহারিয়া এবং হাইফা শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ১৬টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এক ঘণ্টার মধ্যে লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি রকেট নিক্ষেপের ঘটনা শনাক্ত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, যে স্থান থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে সেদিকে কামানের গোলাবর্ষণ করছে আইডিএফ।
কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, গত ৭ অক্টোবর থেকে নিরলস ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
গাজাকে লক্ষ্য করে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলা চলছে, তারপরও লেবাননের সাথে ইসরায়েলের সীমান্তেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেখানে শক্তিশালী ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় এক মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় করে চলেছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনের আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময়ের ঘটনায় লেবাননে অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৯ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলি ছয় সৈন্যসহ দুই বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে।
লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে অবশ্য কাসাম ব্রিগেড তার বিবৃতিতে আরও বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি। তবে সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে হাইফার দিকে এসব রকেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটল।
এদিকে, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের আর তেমন কিছুই করার নেই।