বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র তাদের পথ থেকে সরাতে পারবে না। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, আজকের সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, বরং দেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল। এই মিছিল গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সংগ্রামের প্রতীক। দেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর এই রাজপথে লাখো জনতার অংশগ্রহণ জাতীয়তাবাদী আদর্শের শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের হতাহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও শহীদদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রত্যয় রয়েছে। এটাই তাদের মিছিলের মূল বার্তা।
দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল, জনগণের ভোটাধিকার ও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।”
তিনি আরও বলেন, “কখনো যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্রের সুফলও পাওয়া যাবে না এবং সাধারণ মানুষ বাজার সিন্ডিকেটের মতো অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না।”
তারেক রহমান সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সক্রিয় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। তবে এই সরকারকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শোভাযাত্রা শুরু হয়, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।