ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত করল সৌদি আরব
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। আমেরিকার মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক তৈরির মাঝপথ থেকে সরে আসল সৌদি আরব। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেছে সৌদি আরব।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরুতে সৌদি আরব ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলো। এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সংলাপ স্থগিত করল। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ভয়াবহতার মধ্যে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা জানিয়েছে।
বর্তমানে সৌদিতে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আজ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিক এর আগেই আলোচনা স্থগিত করার খবরটি সামনে এলো।
এএফপি বলছে, মুসলমান ধর্মালম্ভীদের তীর্থ ভূমি সোদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় বাহারাইন, আর আমিরাত ও মরোক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে, ওই সময়ও যুক্তরাষ্ট্রের কথায় সায় দেয়নি সৌদি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য সৌদি আরবের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য ওয়াশিংটনকে বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে রিয়াদ, যা হয়েছে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মাধ্যমে। ওয়াশিংটনের কাছে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ও বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়নে সহায়তা চায় রিয়াদ।
গত মাসে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি যাচ্ছি।’ যদিও সাক্ষাৎকারে তিনি ফিলিস্তিন ইস্যুটি নিয়ে জোর দিয়েছিলেন। সালমান বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যু আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এর সামাধান চাই। ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ করতে হবে।’