ইসলামকে ‘মহান ধর্ম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামকে ‘মহান ধর্ম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের যে অবদান রয়েছে, তার স্বীকৃতি দিতে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। টেক্সাস থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান আল গ্রিন এ প্রস্তাব দেন। তাতে সম্মতি জানান ইলহান ওমর, রাশিদা তাইয়িব ও আন্দ্রে কারসন।
গত ২৮ জুলাই মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামি মূল্যবোধ ও বিশ্বাস আরও বাড়ানো, ইসলাম বিষয়ে বোঝাপড়া ও এই ধর্মের প্রতি জনসাধারণের মর্যাদাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধি করা। প্রস্তাবটিকে বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউজ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এল, যখন ইউরোপের একাধিক দেশে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানোর যে চেষ্টা চলছে, তা থেকে ইসলামকে আলাদা করতেই এই উদ্যোগ।
প্রস্তাবে ইসলামের মৌলিক নীতিমালা, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুশীলন ও ঐতিহ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ হলো ‘আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ’ ও ‘শান্তি’।
এতে আরও বলা হয়, পবিত্র কোরআন ইসলামের মৌলিক ধর্মগ্রন্থ ও মুসলমানেরা এটিকে তাদের ঐশ্বরিক নির্দেশনার গ্রন্থ বলে মনে করে। তাছাড়া ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২০০ কোটি মানুষ এ ধর্মের অনুসারী। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ৩৫ লাখ মুসলমান বসবাস করে।
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য আল গ্রিন কংগ্রেসের পাকিস্তান ককাসের একজন সদস্য। এর আগেও তিনি একাধিকবার মুসলিমদের পক্ষে কণ্ঠ তুলেছেন। ২০১৫ সালে যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বন্ধ করার নির্দেশ দেন, তখন গ্রিন তার সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।