যুদ্ধের মধ্যেই শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াল রাশিয়া-ইউক্রেন
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ দুই মাস বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এমন পদক্ষেপ সহযোগিতার একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ স্থাপন করল। চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ মে) জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। খবর রয়টার্সের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান এ শস্য চুক্তির মেয়াদ দুই মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের দুটি বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো না আটকানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসসিচব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন খাদ্য পণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য চুক্তি হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে রাশিয়ার কৃষি খাতের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বারবার ক্ষোভ জানিয়েছে মস্কো।
বিভিন্ন শস্যের শীর্ষ উৎপাদনকারী ইউক্রেন। তবে কৃষ্ণসাগর দিয়ে রপ্তানিতে বাধা দেয় রাশিয়া। চুক্তির আওতায় ৩০ মিলিয়ন টনের বেশি শস্য সরবরাহ করা হয়েছে কৃষ্ণসাগর দিয়ে।
মস্কোর দাবি, দরিদ্র দেশে আরও শস্য ও সার পাঠাতে চায় তারা। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল রাশিয়া। পরে আবার চুক্তিতে ফেরে মস্কো।
আরএ/