রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তান এনএবি'র 'সীমাহীন ক্ষমতা' ও 'বিতর্কিত কর্মকাণ্ড'

ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা এনএবি। বিশ্বব্যাপী এই নামটি এখন ব্যাপক আলোচিত। সম্প্রতি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাজধানীর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করার পর আলোচনায় উঠে এসেছে এনএবি'র নাম। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এনএবি কী, তাদের কাজ কী এবং তারা কতটা শক্তিশালী।

শুরুর কথা
এনএবি গঠন করা হয় ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর। সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের হাত ধরে এই সংস্থার যাত্রা শুরু। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের বিনাশ ঘটাতে গঠিত এ সংস্থার প্রধান (চেয়ারম্যান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান। এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থার সদরদপ্তর অবস্থিত রাজধানী ইসলামাবাদে এবং করাচি, লাহোর, পেশোয়ার, কোয়েটা, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও শুক্কুর শহরে এর আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠাকালে এনএবি চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ আমজাদ। বর্তমানে এনএবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাজির আহমেদ ভুট্টো। তিনি ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান এবং ২০২৩ সালের ৪ মার্চ চেয়ারম্যান হিসেবে এনএবিতে যোগদান করেন। যদিও এনএবি'র সরকারি ওয়েবসাইটে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া নেই, তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন চৌকস ও জাঁদরেল কর্মকর্তা।

উন্মুক্ত জ্ঞানকোষ উইকিপিডিয়া থেকে জানা গেছে, এনএবি গঠনের পর মোশাররফ বলেছিলেন, ''আমি ক্ষমতায় আসার আগে পাকিস্তান 'ব্যর্থ রাষ্ট্র' ঘোষিত হবার দ্বারপ্রান্তে ছিল, তাই দুর্নীতিবাজদের মধ্যে ঈশ্বরের ভয় টিকিয়ে রাখতে এনএবি গঠন করা হয়েছে।''

কাজের ধরন এবং ক্ষমতা
এনএবি'র কার্যপদ্ধতিতে দুইজন প্রধান ব্যক্তি রয়েছেন। একজন চেয়ারম্যান, যিনি সকল অনুসন্ধান ও পুরো কার্যপদ্ধতির তদারকি করেন এবং অপরজন একজন প্রধান আইন কর্মকর্তা (প্রসিকিউটর জেনারেল), যিনি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ সকল বিচারকার্য পরিচালনা করেন। প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল ৪ বছর এবং প্রসিকিউটর জেনারেলের মেয়াদকাল ৩ বছর।

বর্তমানে এনএবি'র প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লাহোর হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আসগর হায়দার। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ইংরেজি সংবাদমাধ্যম 'ডন' সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আসগর ২০১৮ সালে এনএবি'র প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তিন বছরের মেয়াদকাল শেষে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে পুনরায় প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এনএবি'র অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল 'মেয়াদ বৃদ্ধি হবে না শর্তে একজন প্রসিকিউটর জেনারেল কেবল এক মেয়াদকাল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন'। তবুও তার মেয়াদকাল বৃদ্ধি হওয়ায় তখন ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত বিধানটি সংশোধন করেন। সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুসারে, 'প্রসিকিউটর জেনারেল তিন বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং একই বা একাধিক মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।'

রাষ্ট্রের মূল বিচার ব্যবস্থা থেকে এনএবি'র বিচার ব্যবস্থা আলাদা এবং সংস্থাটি নিজস্ব আদালত পরিচালনা করে। এর নিজস্ব তদন্তকারী দল এবং যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের লাগামহীন ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি গ্রেপ্তারকৃতদের আটকে রাখার জন্য আলাদা কারাগারও রয়েছে। যার সব কিছুই পাকিস্তানের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত।

২০১৩ সালে এনএবি বিপুল সংখ্যক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় এবং ইসলামাবাদের COMSATS বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। চাকরির বাইরে ৭ মাস এবং চাকরিরত অবস্থায় ২ মাসের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্ত করার পরে, দেশের বিভিন্ন কার্যালয়ে তাদের পদায়ন করা হয়।

পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের মতে, এনএবি'র দায়িত্ব হল বলপ্রয়োগ, প্রসিকিউশন, সচেতনতা এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে দুর্নীতি দূর করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

তদন্ত এবং পরবর্তী বিচারকার্যে কয়েক মাস সময় এমনকি বছর গড়াতে পারে এবং বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের আটকে রাখতে পারে এনএবি।

পাকিস্তানের অধিকাংশ পাবলিক রেকর্ড এখনো ইলেকট্রনিকভাবে আর্কাইভ না করা বা কেন্দ্রীয় ডাটাবেসে সংযুক্ত না করার কারণে বিচারযোগ্য প্রমাণ সংগ্রহে অসুবিধা এবং ধীরগতির বিচারিক প্রক্রিয়ার কারণে এনএবি'র কার্যক্রম এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

তদন্ত ও অর্জন
এনএবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটি ৪ হাজার ৭৪৭টি তদন্ত পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে আদালতে ৩ হাজার ৫৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার ফলস্বরূপ ১ হাজার ১৯০টি মামলায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, ৭৭১টি মামলা খালাস হয়েছে এবং ১০০ মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এনএবি সূত্রে আরও জানা যায়, সৃষ্টির পর থেকে সংস্থাটি দেশের অভিজাত রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং কর্পোরেট অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্বারা সংঘটিত দুর্নীতি থেকে ২৪০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বা প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি পুনরুদ্ধার করেছে।

২০২০ সালে ইমরান খানের আমলে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে গ্রেপ্তার করে বেশ কয়েক মাস আটকে রেখেছিল এনএবি। এ ছাড়াও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সকল প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত, বিচার এবং কারাগারে পাঠিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বড় ভাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ২০১৮ সালে এনএবি আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে অবশ্য একটি উচ্চ আদালত মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে হওয়া রায় বাতিল করেন।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং সর্বোচ্চ আদালতের ভর্ৎসনা
শুরু থেকেই সংস্থাটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত। প্রধানত এর লাগামহীন ক্ষমতার এবং যে কোনো ব্যক্তিকে তদন্ত করে কলঙ্কিত করলেও পরে তাদের নির্দোষ বলার কারণে।

কাগজে-কলমে এনএবি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং রাজনীতিবিদদের মতে, সংস্থাটিকে প্রায়ই দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বিরোধী দলকে দমন করার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যদিও, ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এনএবি।

যদিও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সবাই একমত। তবে বিশ্লেষকদের দাবি, সে দিক থেকে সংস্থাটির খুব বেশি সাফল্য নেই। বরং এনএবি'র তদন্তের ভয় এত বেশি যে সরকারি কর্মকর্তারা প্রকল্পগুলো স্বচ্ছ রাখতে কাজে ধীরগতির অবতারণা করেন।

আইন অনুযায়ী সংস্থাটি শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। তবে পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে যে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত এবং বিচার চালিয়েছে এনএবি।

অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার সংস্থাটির সমালোচনা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা 'দর কষাকষি' করার জন্য সংস্থাটির সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে 'প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজার 'দর কষাকষি' মন্তব্য সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলেন, সংস্থাটি প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের বাইরে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা করে। তদন্ত ও বিচার থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে এনএবি দ্বারা নির্ধারিত 'খরচ' দিতে হয়।

আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন বিচারপতি খাজা আরও বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন, কিছু এনএবি কর্মকর্তা প্রভাবশালী সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের আগে সতর্ক করে দেয় যাতে তারা পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।

গেল মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তুলে নিয়ে যায় এনএবি। বিষয়টিকে বেআইনি ঘোষণা করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এনএবি'র এহেন কর্মকাণ্ডকে দেশের বিচারিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় অসম্মান বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। প্রধান বিচারপতি তার মন্তব্যে এনএবি-কে ভর্ৎসনা করে বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি যে ইমরান খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ছিল' এবং একইসঙ্গে 'আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে না' বলে নির্দেশ দেন তিনি।

সংশোধনী
চলতি বছরের মার্চ মাসে, পিটিআই ব্যতীত দেশের সমগ্র রাজনীতিবিদরা সংস্থাটির ক্ষমতা সীমিত করার লক্ষ্যে আইন সংশোধন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। পূর্বে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জামিনবিহীন ৯০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারত এনএবি, বর্তমানে সে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সময়কাল করা হয়েছে ১৪ দিন। এ ছাড়া সংস্থাটিকে একটি মামলা এক বছরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

তবে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী যে পরোক্ষভাবে জড়িত এনএবি'র সীমাহীন ক্ষমতা তারই উদাহরণ এবং ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতা ইস্যুতে আইএসপিআর-এর দেওয়া বিবৃতি সেদিকেই ইঙ্গিত করে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র: জিও নিউজ, ডন, উইকিপিডিয়া এবং এনএবি'র সরকারি ওয়েবসাইট

/এএস

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ