আদালতে নয়, ইমরানের শুনানি আটক স্থানে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বুধবার (১০ মে) বিকালে শুনানির জন্য আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ইসলামাবাদ পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ইমরান খানকে আদালতে নেওয়া হয়নি, বরং গ্রেপ্তারের পর তাকে যেখানে আটকে রাখা হয়েছে সেখানেই তার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে শুনানি সাময়িক স্থগিত রয়েছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা ও পাকিস্তানের স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল জিও টিভির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কৌঁসুলি। অপরদিকে, রিমান্ড বিবেচনা করার আগে, হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে ৭০ বছর বয়সী ইমরানকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হল সেদিকটা বিবেচনা করতে আদালতের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ইমরান খানের পক্ষের কৌঁসুলিরা।
এর আগে, বুধবার বিকালে ইমরান খানকে আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছিল দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৯৯-এর নতুন সংশোধনীতে যে কোনো আদালত প্রদত্ত শারীরিক রিমান্ডের সময়কাল ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে।
এনএবি সূত্র বলছে, তাকে অন্তত চার-পাঁচ দিন হেফাজতে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। ইমরান খানের সঙ্গে ‘কঠোর আচরণ’ করা হবে না। তাকে কেবল মামলায় তার জড়িত থাকা ও আর্থিক সুবিধা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ইমরানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এনএবি জানায়, ইমরানকে এনএবির 'রাওয়ালপিন্ডি/ইসলামাবাদ' আঞ্চলিক সদর দপ্তরে ‘আরামদায়ক পরিবেশে’ রাখা হয়েছে।
একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলার বিবরণও দিয়েছে এনএবি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে এনএবি। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভেতর থেকে তুলে নেয় রেঞ্জার্স সদস্যরা। ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
/এএস