মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ম্যাডের সেরা কার্টুনিস্ট আল জাফি

আল জাফিকে ‘ম্যাড’ ম্যাগাজিন খুঁজলেই পাওয়া যাবে। তবে তিনি আর এই জগতে নেই। চলে গিয়েছেন ১০ এপ্রিল ২০২৩। বেঁচে আছেন তার ম্যাডের কার্টুন ও ইলাসট্রেশনগুলোর মধ্যে। পুরো নামটি তার অ্যালান জাফি। তবে বাবা-মা নামটি রেখেছেন ছেলের আব্রাহাম জাফি। মাকিন এই প্রখ্যাত কাটুনিস্ট জন্মেছেন ১৯২১ সালের ১৩ মার্চ।

ম্যাডে তার ট্রেডমার্ক ফিচার ছিল ‘দ্যা ম্যাড ফোল্ড-ইন’। টানা ৬৫ বছর ম্যাডে কাজ করেছেন। তাদের সবচেয়ে বেশি বছরের কার্টুনিস্ট ছিলেন। ১৯৪২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। ফলে একজন কমিক আর্টিস্ট হিসেবে বিশ্বরেকডেরও মালিক হয়েছেন তিনি। নিজে বলেছেন, ‘আমার বয়সের সিরিয়াস মানুষরা সবাই মারা গিয়েছেন।’ ম্যাডে তার আরেকটি রেকর্ড হলো ১৯৬৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই ব্যঙ্গ ও হাস্যরসাত্মক ম্যাগাজিনের কোনো সংখ্যাই জাফির নতুন কাজ ছাড়া ছাপা হয়নি। তাকে বিবেচনা করা হয় নিজের সময়ের সবচেয়ে বড় কাটুনিস্টদের একজন হিসেবে। সবাই জানতেন যে, তিনি যে কোনো কিছুকে কার্টুন বানিয়ে ফেলতে পারেন।

জন্মেছেন জর্জিয়াতে। বাবা-মায়ের চার ছেলের সবার বড় ছিলেন। তারা ইহুদি। লিথুয়ানিয়া থেকে দেশটির উপকূলীয় শহর সাবানাহতে অভিবাসন করেছেন। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ম্যানেজার ছিলেন বাবা। তারা একসময় চলে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তখন আল জাফির বয়স মোটে ৮। তিনি পড়ালেখা করেছেন নিউইয়র্ক সিটির হাইস্কুল অব মিউজিক অ্যান্ড আর্টে, ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে। সহপাঠী ছিলেন তার ভাই হ্যারি, ম্যাডের ইলাসট্রেটর ও কাটুনিস্ট উইল এডলার, ম্যাডের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন কাটুনিস্ট হার্ভি কার্টজম্যান, মার্ভেলের কমিক শিল্পী জন স্যাভেরিন ও ইসি কমিকস ও ম্যাডের আল ফ্যাল্ডস্টাইন।

আল জাফির পেশাজীবনের শুরু হয়েছিল ১৯৪২ সালে। তিনি জোকার কমিকসে সে বছরের ডিসেম্বরে তার প্রথম কার্টুন প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি টাইমলি কমিকস ও অ্যাটলাস কমিকসে কাজ করেছেন ১৯৪০ ও ১৯৫০’র দশকে। মার্ভেল কমিকসেও কাজ করেছেন। ম্যাডে ডেভ বার্গের সঙ্গে কাজ শুরু করলেন। টাইমলির জন্য তখন বিখ্যাত কাজ করেছেন ‘ইনফেরিয়র ম্যান’ নামের চরিত্র। তিনি কার্টুন লেখকদের বাক্যগুলোর ওপর কার্টুন করতেন বলে অবলীলায় জানিয়েছেন। আরো বলেছেন, ‘আমি কে যে সম্ভাবনাময় চাকরিদাতাদের সঙ্গে তক করবে?’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। রাস্ক ইনস্টিটিউট অব রিহ্যাবিলিটিস মেডিসিনের নকশাটি তার করা। পেন্টাগনে কাজ করার সময় তার সঙ্গে দেখা হলো রুথ আলকুইস্টের সঙ্গে। ১৯৪৫ সালে তারা বিয়ে করলেন। পরের বছর সাধারণের জীবনে ফিরে এলেন আল জাফি। কাজ শুরু করলেন স্ট্যান লি’র সঙ্গে। দেড় বছর তিনি টাইমলির হিউমার ও টিনেজ কমিকসগুলো সম্পাদনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে বিখ্যাত হলো ‘পাস্টি ওয়ার্কার’।

বিখ্যাত চরিত্র ‘জিগি পিগ’ ও ‘সিলি সিল’ তার তৈরি। কীভাবে শুরু? “প্রধান সম্পাদক স্ট্যান লি আমাকে বলেছিলেন, ‘অ্যানিমেটেড ধরনের একটি চরিত্র তৈরি করো যেটি কিছুটা ভিন্ন ও কিছুটা নতুন হবে।’ আমি চারপাশে অনেক খুঁজলাম ও ভাবলাম। সিল মাছ নিয়ে কাউকে কিছু করতে দেখিনি। ফলে তাকে প্রধান চরিত্র হিসেবে তৈরি করলাম। এভাবেই তৈরি হলো সিলি সিল’। আরেকদিন স্ট্যান লি আমাকে বললেন, ‘তাকে ছোট কোনো বন্ধু কেন দিচ্ছ না?’ আগেই আমি ‘জিগি পিগ’ বানিয়েছিলাম, সে হলো একটি ছোট শুকরছানা। ফলে তাদের দুজনকে একটি সিরিজে দ্রæত নিয়ে এলাম। কাজটি খুব সহজ হলো। তিনি বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে’।”


১৯৫৭ থেকে ৬৩ টানা ছয়টি বছর জাফি কাজ করেছেন নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউনে, সেখানে তিনি ‘টল টেলস’ প্যানেলে কাজ করেছেন ও ১শটির বেশি দৈনিকের সিন্ডিকেটে তার কাজগুলো ছাপা হয়েছে। এগুলো নির্বাক কাটুন ছিল। এত দারুণ ছিল যে, যখন তারা এখানে কথা যোগ করলেন, বিদেশী ২৮টি পত্রিকা ছুটে গেল। ২০০৮ সালে তার টল টেলস স্ট্রিপগুলোর একটি কালেকশন প্রকাশিত হয়েছে। ইহুদি শিশুদের জন্য প্রকাশনা সিভস হিশেমের জন্য ১৯৮৪ সাল থেকে হালকা অভিযানের কহিনী নিয়ে ইহুদিদের ধর্ম ও জীবনযাপনের ভিত্তিতে ‘দি সিপ্পি’ নামের ইলাসট্রেশন শুরু করেছেন। শিশুতোষ দ্বিমাসিক প্রকাশনা দি মেশিয়েক টাইমসে ছাপা হয়েছে।


ম্যডে তিনি পুরোপুরি কাজ শুরু করেছেন ১৯৫৫ সালে। কমিক বুক থেকে তারা ম্যাগাজিনে চলে আসার পর। আগে প্রকাশক ও তার সহপাঠী হার্ভি কার্টজম্যান তিনটি সংখ্যা করেছেন, চতুথ সংখ্যা থেকে আল জাভি। তিনি এর আগে কার্টজম্যানের দুটি হাসির ম্যাগাজিন হামবার্গ (১৯৫৭ থেকে ১৯৫৮) ও ট্র্যাম্প (গøসি, বিদ্রæপ ও হাসির ম্যাগাজিন; মোটে দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে ১৯৫৭ সালে)-এ কাজ করেছেন। তবে ম্যাড হাভি কার্টজম্যানের ভাগ্য ফিরিয়ে দিলো চিরকালের মতো। ২০০৮ সালে তারা হামবার্গের পুরো রিপ্রিন্ট করেছেন, দুটি ভলিউমের একটি সেট। ১৯৫৮ সালে হামবার্গ বন্ধ হয়ে গেল ও নিজের ছাপা না হওয়া জিনিশগুলো ম্যাডে নিয়ে এলেন আল জাফি। ১৯৬৪ সালে ৮৬তম প্রথম নিজের ফোল্ড-ইন হিসেবে খ্যাত ফিচারটি প্রকাশ করেছেন। এরপর থেকে ম্যাডের সবচেয়ে দীর্ঘকালের ফিচার আইটেম হয়ে গেল এটিই। ফোল্ডারের ভেতরের এই ফিচারের প্রতিটি সংখ্যায় তিনি লুকিয়ে দিতেন ছবি ও নতুন ক্যাপশন। একটি নতুন ইংরেজি ভাষার বিশ্ব তৈরি করলেন তিনি। ম্যাডের পরিচয়বাহী কাজ হলো তার এই কর্ম। কেবল ১৯৭৭ সালের একটি সংখ্যা তার এই ফিচার ছাড়া ছাপা হয়েছে। যদিও সেই সংখ্যার পেছনের কাভারটি করেছেন। ম্যাডে তার এই বিভাগ ১৯৬৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত একটানা চলেছে। এলিজাবেথ টেইলর, রিচাড নিক্সন, বিটলস কাকে নিয়ে কাজ করেননি? শেষ কাজ করেছেন ২০২০ সালের আগষ্ট সংখ্যায়।

আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাডের চাকরি ছাড়লেন ১৯৯৯ সালে, অবসরের মাধ্যমে। সেবারই ছাপা হলো ‘আল জাফি ট্রিবিউট ইস্যু’ বা আল জাফি শ্রদ্ধাঞ্জলী সংখ্যা। ম্যাডে তার তৈরি ফোল্ডার-ইন এখনো চলছে, খুবই জনপ্রিয় বরাবরের মতো। কখনোই তিনি ছাপা হওয়ার আগে তার শেষ করা কাটুন দেখতেন না। কেমন করেছেন ও কেমন করতে পারতেন, সেই বিচার এভাবেই করতেন। তাকে ম্যাড বিবেচনা করতো, ‘কম্পিউটারের বিপরীতে কর্মী’। এই ম্যাগাজিনের সবচেয়ে পুরোনো ও নিয়মিত কমী আল জাফি ৫৫০টি সংখ্যার ৫শটিতেই কাজ করেছেন। যেকোনো কর্মীর চেয়ে অনেক বেশি। নিজে বলেছেন, ‘আমি এমন একটি ম্যাগাজিনে কাজ করেছি যেটি কিশোর, তরুণদের জন্য প্রয়োজনীয়। তাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজেকে চলমান রেখেছি। নিজেকেও খুব সৌভাগ্যবান মনে করছি। যখন বুড়ো অন্য ঘোড়াগুলো দৌড়াচ্ছে, আমিও দৌড়াতে চেয়েছি।’ এনওয়াই ১ নামের মার্কিন টিভি চ্যানেল তার কর্মজীবনের ওপর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। তার বিখ্যাত ফোল্ডার-ইন নিয়ে ‘দ্যা ম্যাড ফোল্ডার-ইন কালেকশন ১৯৬৪-২০১০’ চার ভলিউমে প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০২০ সালের জুনে অবসর নেবেন বলে ঘোষণা দিলেন ও তার ম্যাড সে মাসেই তাকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যাটি করলো। তিনি একশর বেশি ফিচার লিখেছেন এখানে।

তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার কার্টুনিষ্টদের সংগঠনে তার ফোল্ড-ইনের জন্যই প্রথম ‘দ্যা ন্যাশনাল কাটুনিস্ট সোসাইটি’র ‘স্পেশাল ফিচার রুবেন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করলেন ১৯৭১ সালে। ‘বিজ্ঞাপন ও ইলাসট্রেশন অ্যাওয়ার্ড’ জয় করেছেন ১৯৭৩ সালে। ‘স্পেশাল ফিচারস অ্যাওয়ার্ড ১৯৭৫ সালেও পেয়েছেন। ১৯৭৯ সালে জয় করেছেন ‘হিউমার কমিক বুক অ্যাওয়ার্ড’। ২০০৮ সালে আল জাফি লাভ করেছেন আবার রুবেন অ্যাওয়াড, বছরের সেরা কাটুনিস্ট হিসেবে। তার ফোল্ড-ইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন থিওরি ‘গার্ল’ নামের একটি ভিডিও গান তৈরি করেছে। এখানে তার নামটিও আছে। দেখানো হয়েছে টিভিতে।

তার ও রুথ অ্যালকুইস্টের ঘরে দুটি ছেলে, মেয়ে আছে। রিচার্ড ও ডেবি। তবে এই দম্পতি ১৯৬৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়েছেন। তারপর থেকে ম্যাডের স্টুডিওতে আলাদা জায়গায় থাকতেন আল জাফি। ১৯৭৭ সালে তিনি আবার বিয়ে করেছেন একজন বিধবা নারী জয়েস রিভেনসনকে। এরপর আর বিয়ে ভাঙেনি আল জাফির। তার স্ত্রী ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মারা গিয়েছেন। তারা ম্যানহাটনে থাকতেন। ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল ১০২ বছর বয়সে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় যখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কার্টুন শিল্পী আল জাফি মারা গেলেন একটি হাসপাতালে তার চরিত্রগুলোও কাঁদলো।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের শোবিজ অঙ্গনের মধ্যে বদলে যাওয়া এক অভিনেত্রী রুনা খান। যিনি সব সময় নিজের মতো করে বাঁচতেই পছন্দ করেন। তার ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় দুই দশকের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ধরে রেখেছেন নিজের রূপ, লাবন্যও।

বর্তমানে রুনার বয়স চল্লিশের কোটায়। এই বয়সে এসে এখনও আবেদনময়ী রুনা খান। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তার এই বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে অকপটে কথা বলতে দেখা গেল রুনা খানকে।

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় মজার ছলে প্রসঙ্গ ওঠে, রুনাকে এই বয়সে এখনও কেউ দুষ্টু বার্তা, কিংবা কোনো প্রস্তাব পাঠায় কিনা! খানিকটা হেঁসে রুনা বললেন, ‘আমারই সমবয়সি অপূর্ব, নিশো। ওরাও তো দেখতে আকর্ষণীয়। ওদেরকে তো এই প্রশ্ন করা হয় না; তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, তারপরও কেন আকর্ষণীয় লাগছে! তো ৪০-৪২ বছর বয়সী অপূর্বকে, শুভকে সুন্দর-আকর্ষণীয় দেখালে ৪০-৪২ বছর বয়সী রুনা খান, বাঁধনদেরকেও সুন্দর, আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, একই জিনিস।’

রুনা বলেন, ‘আমরা আসলে নারীদের ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন করতে, ভাবতে ভালোবাসি আমরা, এটা আমাদের অভ্যস্ততার ব্যাপার।’

তবে সুযোগ পেলে বয়স আশিতে গিয়েও মডেলিং ও অভিনয়ে যুক্ত থাকবেন বলে আশাবাদী রুনা খান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার কাছে আসলে সৌন্দর্যের প্রতীক আমার মা। এছাড়াও শর্মীলা (শর্মীলা আহমেদ) আন্টি, দিলারা জামান, তারা। আমি যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ থাকি তাদের বয়স পর্যন্ত, তাহলে ওনাদের মতো হতে চাই। তারা আশি বছর বয়সে গিয়েও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিংবা আইস টুডের কাভার মডেল হতে পারেন।’

বছর কয়েক ধরে নিজের ওজন কমিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন রুনা খান। ৪১ শে এসেও সমানতালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন রূপের দ্যুতি। আবার কখনও সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরে তাক লাগিয়েও দেন অনুরাগীদের। এ নিয়ে কখনও বিতর্কিতও হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এসব কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন রুনা খান, সাফল্যের মুখ দেখছেন অনায়াসেই।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই, কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট 'অসময়'-এ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে রুনা মনে করেন, 'অসময়' তাকে সুসময় এনে দিয়েছে। এখন ওয়েব কনটেন্টে কাজ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছেন সিনেমাতেও।

Header Ad

চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত

নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে আদালত ভবনের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশের পর বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে দেয় সনাতনীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আদালত ভনের সামনেই প্রিজন ভ্যান আটকে রাখার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বললে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চড়াও হয়।

এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং সংঘর্ষে জড়ায়। সেই সংঘর্ষ আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে আদলতের সামনের সড়কেও। আদালত ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পর তারা সেখান থেকে যেতে যেতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় ইসকনের সমর্থকরা।

এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় সাধারণ ছাত্র-জনতার সাথেও সংঘর্ষে জড়ায় চিন্ময়ের অনুসারীরা।

Header Ad

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হওয়ার ২২ দিন পর মারা গেছেন সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ (৪৮)। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নওগাঁ শহরের সাহাপুর এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

গত ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদকে গুলি করে। এ সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার পর থেকে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মজিদ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদের সঙ্গে বিরোধে সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২ নভেম্বর রাতে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আব্দুল মজিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আব্দুল মজিদকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিৎকিসা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বজনেরা গতকাল সোমবার সকালে তাঁকে নওগাঁয় নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর গতকাল রাতেই তাঁর শারিরীক অসুস্থতা বেড়ে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মজিদের মৃত্যু হয়। আহত হওয়ার ২২ দিন পর যুবদল নেতা মজিদের মৃত্যু হলো। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাদ জোহর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সাহাপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আব্দুল মজিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি আরিফ দেওয়ানসহ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম