তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
তাইওয়ানের চারপাশে চীনের বড় ধরনের সামরিক মহড়ার শেষ হওয়ার কয়েক দিন পর এবার ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপটিকে আলাদা করা তাইওয়ান প্রণালিতে রয়েছে যুদ্ধজাহাজটি।
সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, তাইওয়ান প্রণালি ও দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অহরহ সামরিক নৌযান পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের এই উদ্যোগের নাম ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশনস’।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার তাইওয়ান প্রণালিতে গেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস মিলিয়াস। নিয়মিত যাতায়াতের অংশ হিসেবে ওই জলপথ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের সব নিয়ম মেনে চলছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত জানুয়ারির পর তাইওয়ান প্রণালিতে এটাই প্রথম মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির ঘটনা।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালিতে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি তাদের নজরে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। চীনা সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল শি ই বলেন, ওই অঞ্চলে সেনারা সব সময় উচ্চ সতর্কতা মেনে চলবে। সতর্ক থাকবে।
সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে, যোগ করেন তিনি।
এ ঘটনার পর চীন দাবি করেছে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অংশ। ‘এক চীন’ নীতির অধীন এক দিন তারা এই অঞ্চলকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে।
এই নীতির অধীনে কোনো দেশ একসঙ্গে বেইজিং ও তাইপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না। মার্কিন স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন
মার্কিন প্রশাসন এক চীন নীতি সমর্থন করলেও তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তাইওয়ানকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এমনকি তাইওয়ানের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় অংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
এএফপি আরও জানায়, সম্প্রতি চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে। ৮ এপ্রিল থেকে তাইওয়ান ঘিরে তিন দিনের বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং।
এমএমএ/