মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আইসক্রিমের ব্যবসায়ী ছোটবেলার দুই বন্ধু

তারা দুজনে, কোম্পানির নাম হলো তাদের “বেন অ্যান্ড জেরি’স হোমমেইড হোল্ডিংস ইনক”। তবে সবাই চেনেন “বেন অ্যান্ড জেরি’স” নামে। একটি মার্কিন কোম্পানি যেটি আইসক্রিম, ফ্রোজেন ইয়োগার্ট ও স্টোরবেট তৈরি করে। ১৯৭৮ সালে ভেরমন্টের বুরলিংটনে প্রতিষ্ঠানটির শুরু করেছেন দুই বন্ধু মিলে। একটি মোটে আইসক্রিম দিয়ে শুরু এবং ধীরে, ধীরে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করেছেন।

এখন তাদের সদর দপ্তর হলো সাউথ বুরলিংটনে। আর মূল কারখানা আছে ওয়াটারবুরিতে। আসল স্বাদ ও গন্ধের জন্য বিখ্যাত তাদের শিশুদের পণ্যগুলো। অনেক ধরনের খাবার মেশান তারা, ডেজার্টগুলো থাকে আইসক্রিমগুলোতে। জাদুকর, কৌতুকাভিনেতা, জনগনের প্রিয় মানুষদেরও তারা আইসক্রিমের মোড়কে এনেছেন। যেমন গ্রেটফুল ডেডের প্রধান গায়ক, গীতিকার জেরি গার্সিয়া, বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা স্টিফেন কোলবার্টের নামে তাদের আইসক্রিম আছে। তারা সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও আন্দোলন করেন। এভাবেই তাদের পণ্যগুলো তৈরি করেন, বিক্রি করেন ও বিপনন করেন। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে তারা বছরে ২০০ মিলিয়ন পিস আইসক্রিম বিক্রি করেন। বিশ্বের ৩৬টি দেশে যায় “বেন অ্যান্ড জেরি’স” পণ্যগুলো। তারা আইসক্রিম ব্যবসার বিশ্বের অন্যতম মাস্টার হিসেবে খ্যাতিমান।

তবে শিশুদের মতোই তাদের আজীবনের বন্ধুত্বটি তৈরি হয়েছে। সত্যিকারের বন্ধুত্ব কেমন তার উদাহরণ দুজনে। যখন তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তেন, একটি ব্যায়ামের ক্লাসে প্রথম পরিচয়। তারপর থেকে গড়ে উঠেছে এই সম্পর্ক। দুজনেই ছিলেন ক্লাসের সবচেয়ে মোটা দুটি শিশু। তারপর একই কলেজে বন্ধু হিসেবে পড়েছেন দুজনে। বেনের পুরো নাম হলো বেন কোহেন আর জেরির জেরি গ্রিনফিল্ড। জেরি ওবারলিন কলেজে পড়ালেখা করছেন আর বেন কলেজে তেমন পড়তে পারেননি। কদিন পরেই তার নামটি অনিয়মিত হিসেবে কাটা পড়লো। এরপর কদিন মাটির জিনিশপত্র বিক্রি করলেন। তবে সেখানে সফল হতে পারলেন না। এরপর আবার দুই বন্ধু মিলে তাদের দুজনের ব্যবসা শুরু করতে নিউইয়র্কে চলে গেলেন। নতুন ব্যবসার জন্য তাদের পুঁজি হলো মোটে ৮ হাজার মার্কিন ডলার। মাছের খাবার, আইসক্রিমের কেস, পত্রিকা বিক্রি করেছেন শুরুতে। এরপর দোকানের চারপাশে খাবার সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা যাবে এমন একটি বুদ্ধি নিয়ে নামলেন। এরপরই তারা আইসক্রিম ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করলেন। তবে কীভাবে আইসক্রিম বানাতে হবে সেটি তো জানেন না দুই খাদ্যরসিক বন্ধু। ফলে ১৯৭৭ সালে পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কীভাবে আইসক্রিম বানাতে হবে সেই কোসটিতে ভর্তি হয়ে গেলেন। ‘দ্যা স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র ছোট, ছোট বইগুলো পড়ে ব্যবসায়িক দক্ষতাগুলোও শেখা হলো তাদের। নিজেদের পাঠ্যপুস্তক ‘আইসক্রিম’টি খুব ভালোভাবে পড়ে ফেললেন ও সাথে রাখলেন দুজনে।

যখন শুরু করলেন, তখন এই তরুণ দুই উদ্যোক্তাকে সপ্তাহের সাতটি দিনই খুব খাটতে হতো। গড়ে ১০ ঘন্টা করে শ্রম দিতেন। এই শ্রমটি সফল হলো তাদের প্রথম দোকানটি খুলতে পারার মাধ্যমে। সেটি পেলেন তারা একটি রূপান্তরিত গ্যাস স্টেশনে তাদের বুরলিংটনের ভারমিংটনে। সেটি চালাতে লাগলেন। এখানেই জন্ম নিলো “বেন অ্যান্ড জেরি’স”। তবে বেন তাদের কোম্পানিটির নাম রাখতে চেয়েছিলেন “জোসেফাইন’স ফ্লাইং মেশিন”। তবে তাতে রাজি হননি জেরি। আশ্চযের ব্যাপার হলো, ১৯৭৮ সালের ৫ মে, আজ থেকে ৪৪ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছেন তারা, তার সুদীর্ঘ ইতিহাসে মাত্র একবারই নিজেদের বন্ধুত্ব ও ব্যবসায় জীবনে যুদ্ধে নেমেছেন পরস্পরের সঙ্গে। সেটি হলো, বেন চেয়েছিলেন যেন বড় আকারের পনির আইসক্রিমে দেন ও বিক্রি করেন তারা। বেনের স্বত:সিদ্ধ ধারণা ছিল যে, তাদের ক্রেতাদের সবাই সব আকারেরই চান। তবে জেরি তখন আইসক্রিম তৈরি করতেন। তার মনে হলো, বড় আকারের পনির তৈরি করা আইসক্রিম বানানোর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। তিনি আবার ফ্লেভারের দিকে খুব বেশি মনোযোগী বরাবরই। বেনের মনোযোগ তখন থেকে উৎকর্ষতার দিকে। পনিরের আকার নিয়ে এই জুটির কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাপ আলোচনা ও ঝগড়া চলেছে। অবশেষে ক্রেতারাই তাদের সব চিন্তাভাবনা থামিয়ে দিলেন এই জানিয়ে যে, তারা আইসক্রিমে বড় আকারের পনিরই চান, ছোটগুলোর চেয়ে। ফলে বেনই ঠিক মেনে নিলেন জেরি।

এবার একটি গোপন তথ্য, বেনের ঘ্রাণশক্তি লোপের রোগ আছে। ইয়েল মেডিসিন খবর প্রকাশ করেছে যে, তার পুরো ঘ্রাণশক্তিই লোপ পেয়েছে। তারপরও তারা দুজনেই আইসক্রিমগুলোর স্বাদ ও গন্ধ পরীক্ষা করেন। বেন পনির ও পানির পরিমাণটি দেখেন। আসল স্বাদগুলো দেখেন জেরি। এরপর দুজনে তাড়িয়ে, তাড়িয়ে আইসক্রিমগুলো খান। চকলেটভিত্তিক, বাদাম মেশানো, চিপসের স্বাদগুলো মেশানোর দিকে আগ্রহ বেনের। তারপর সেখানে তারা কিশমিশ মেশানো শুরু করলেন। এভাবেই তাদের আইসক্রিমের ব্যবসা চলছে। আর দিন শেষে তারা সেই ছোটবেলার দুই প্রিয়তম বন্ধু হয়ে যান। তাদের মতে, ‘আমাদের বন্ধুত্বই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর ওপরই দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সবকিছু।’ তখন থেকে যারা খেতে ভালোবাসতেন, তারা এসেছেন একত্রে ব্যবসায়ে। বেনের ব্যবসায়িক নীতি হলো, সৃজনশীল ও স্বত:স্ফুত আর জেরির হলো কৌশলী।

একবার বেন পড়ে গেলেন ও তার মাথা আহত হলো। গভীর ক্ষত হয়ে গেল সেখানে। তিনি তখন একটি কনসার্টে যাবেন। কিন্তু আহত হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন, ততক্ষণে জেরি তাকে নিতে চলে এসেছেন। তিনি তার পাশে শুয়ে পড়লেন ও নিজের মাথাকে সেখানে সেভাবে আহত করে বন্ধুর আহত হওয়ায় নিজের ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেন। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘তুমি কী ঠিক আছো? আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি? আমি ঠিক তোমার মতো তোমার পাশে পড়ে থাকতে যাচ্ছি।’

১৯৮৫ সালে তারা তাদের কারখানা চালু করলেন। এখন দিনে সাড়ে তিন লাখ পিস আইসক্রিম তৈরি করেন। তখন থেকে সাধারণ মানুষ তাদের এই কারখানাটি ঘুরে দেখতে পারেন। আন্তর্জাতিক কাজগুলোও তারা এখানে নেন। আছে ভেলমন্টের ওয়ারবুরিতে। সে বছরই “বেন অ্যান্ড জেরি’স ফাউন্ডেশন” গড়ে তুললেন তারা। তাদের কোম্পানির বার্ষিক আয়ের সাড়ে ৭ ভাগ মানুষের তরে বিলিয়ে দেওয়া শুরু করলেন প্রতিবছর। পরের বছর চালু করলেন ‘কাউমোবাইল’। তাতে তারা মোবাইল দোকানে তাদের পণ্যগুলো রাখতে শুরু করলেন। পুরো দেশে তারা এই মোবাইল দোকানের বিক্রি ও বিপনন শুরু করলেন। এটি ছিল তাদের আরেকটি বড় ব্যবসায়িক কৌশল। বিক্রেতারাও ব্যবহার শুরু করলেন। বড়, বড় কোম্পানিগুলোও ব্যাবহার করে। ১৯৮৭ সালে তারা জেরি গার্সিয়ার তারা প্রথম আইসক্রিম চালু করলেন। সেটি হলো কোনো বিখ্যাত মানুষের নামে তাদের আইসক্রিম বিক্রির শুরু। তিনি একজন রক গানের কিংবদন্তী। তার নামের এই আইসক্রিমকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘চেরি গার্সিয়া’। তাদের আরেকটি বড় ব্যবসায়িক কৌশল হলো তারা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘ফ্রি কয়েন ডে’ হিসেবে পালন করেন। সেদিন টাকা ছাড়াই আইসক্রিম খেতে পারেন আইসক্রিমপ্রেমীরা। এখনো চালু আছে। ২০০০ সালের এপ্রিলে তারা ইউনিলিভারের কাছে তাদের কোম্পানিটি বিক্রি করে দিলেন। কেননা বিশ্বজুড়ে যুদ্ধে আর পেরে উঠছেন না। তারপর থেকে তারা নিজেদের কম্পানিতে চাকরি করছেন। তবে কোনো ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা পদে নেই। তারপরও বেনকে গভনিং বোর্ড অব ডিরেক্টরসে রাখা হয়েছে। তবে এখনো “বেন অ্যান্ড জেরি’স” নামেই বিক্রি হয় তাদের আইসক্রিমগুলো।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে

এ আর রহমান এবং মোহিনী দে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সংসারের ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় পরকীয়ার কারণে উভয়ের ডিভোর্স হয়। এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তার আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে মোহিনী স্পষ্টই জানালেন, রহমান তার কাছে বাবার মতো।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ‘খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা করা হচ্ছে, তা সত্যি ক্রাইমের পর্যায় পরে।'

মোহিনীর কথায়, ‘আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মোহিনী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত।

দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।

Header Ad

ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই বিশেষ কোনো গোষ্ঠির লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসের চেয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। তবে এখনও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় কিছু শঙ্কা থেকে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কেউ পরিচয় জানতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে। অকারণে কাউকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। কেউ অবৈধ আদেশ দিলে সেটাও পালন করবেন না।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা বেড়ে গেছে। কোনো অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেওয়া যাবে না। কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে যাই বলুক না কেন কাজ করে যেতে হবে। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। কী পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক বা না করুক কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। মব জাস্টিসের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনি প্রক্রিয়ায় বের হওয়ার পর পুনরায় অপকর্মে জড়ালে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। যাদের কাছেই অপরাধের তথ্য থাকে তারা তা দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। আমরা কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কঠোর হতে চাই না।

তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ স্থিতিশীল একটি পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Header Ad

সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ক্রিকেট যেমন নাটকীয়তায় ভরা, তেমনি তাদের দলটির পারফরম্যান্সও চরম অনিশ্চিত।প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ধস দেখেছিল পাকিস্তান। হারে সিরিজ শুরু করা সফরকারী দল অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়েছে ১৯০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে রেখেই। বড় ব্যবধানের এই জয় নিশ্চিত করার পথে ৫৩ বলেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। যা ফরম্যাটটিতে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম। বাঁ-হাতি এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬২ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান সাইম। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্রেইগ আরবাইনের দলটি। দলীয় ৬ রানে ওপেনার তাদিওয়ানাশি মারিমানি (৪), ২৩ রানে জয়লর্ড গাম্বি (৫) আউট হলে স্বাগতিকরা বিপদে পড়ে যায়। এরপর কয়েকজন ব্যাটার থিতু হলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ডিওন মায়ার্স। এ ছাড়া শন উইলিয়ামস ৩১, অধিনায়ক আরবাইনের ১৮ ও সিকান্দার রাজার ১৭ রানই কেবল সম্বল ছিল জিম্বাবুয়ের। ৩২.৩ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪৫ রানে। বিপরীতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ। এ ছাড়া সালমান আগা ৩ এবং সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম একটি করে শিকার ধরেন।

১৪৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সাইম। তার সঙ্গে শফিকের ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারেই পাকিস্তান ৭১ রান তোলে। একপ্রান্তে সাইম দ্রুতগতিতে রান তুললেও, শফিক ছিলেন শান্ত-ধীরস্থির। শেষ পর্যন্ত দুজন অপরাজিত থেকেই পাকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান ২৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা