তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে ৩৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ সবাই আফ্রিকান বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ মার্চ) এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
এ নিয়ে গত দুই দিনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী পাঁচটি নৌকা ডুবে গেল। এ সব ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬৭ জন।
নিউনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাতে রয়টার্স বলছে, সাব-সাহারান আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ইতালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পরবর্তীতে এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, গত দুই দিনে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া ৫৬টি নৌকা আটকানো হয়েছে। তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের হোসেম জাবাবলি জানিয়েছেন, এ সব নৌকা থেকে ৩ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ইতালীয় উপকূলরক্ষী বলেছে, তারা দক্ষিণ ইতালীয় উপকূলরেখা থেকে দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় ৭৫০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে তিউনিসিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় কমপক্ষে পাঁচ জন মারা যাওয়ার এবং ৩৩ জন নিখোঁজ হন।
তিউনিসিয়ার বিচারক ফাওজি মাসমুদি রয়টার্সকে বলেছেন, স্ফ্যাক্স শহরের উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইতালিতে প্রবেশ করা অন্তত ১২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী তিউনিসিয়া থেকে এসেছেন। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৩০০।
গত মাসে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ অভিযোগ করেন, তার দেশে অবস্থানরত সাব-সাহারান আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কারণে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
আরএ/