একদিনে মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, শনাক্তে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ৩৭১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এবং শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৮ লাখ ২২ হাজার ২৫৮ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৮ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪ জনে।
এদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, জাপান, তাইওয়ান ও পোল্যান্ড। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ১৮৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৯০ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ১ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। ফ্রান্সে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৬২ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। হাঙ্গেরিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪১ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন। জাপানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৬০ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। কলম্বিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৭ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭১ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/