মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিস্তায় আরো দুটি কৃত্রিম খাল ও দুটি জলবিদুৎ তৈরি করছে ভারত

প্রতিবেশী দেশ ভারত তার কৃষি ব্যবস্থার জন্য আন্তঃসীমান্তের নদী তিস্তার জলকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় চোখ তুলে তাকিয়েছে। বাংলাদেশ বলছে, এটি উদ্বেগজনক যেহেতু নদীটি যৌথ ও এর গতিপথ পরিবর্তন বাংলাদেশের নিচুব্যবস্থার কৃষিজমিগুলোর সর্বনাশ ডেকে আনবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) কথাগুলো বলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভারতের কেন্দ্রীয় জল কমিশনকে একটি রাষ্ট্রীয় পত্র প্রেরণ করবে। যেখানে প্রতিবেশী দেশটি অন্বেষণ করবে স্বাদু ও পরিস্কার পানিকে ভাগ করার ব্যাখ্যা।

গেল সপ্তাহে একটি ভারতীয় দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে, পশ্চিমবঙ্গের জলসেচ বিভাগ আনুমানিক ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে আরও দুটি বিরাট আকারের কৃত্রিম খাল খননের জন্য যাতে এই তিস্তা নদীর বাঁধে সেগুলো তৈরির মাধ্যমে তাদের কৃষিগত বিষয়গুলো সম্পাদন করতে পারে। এই নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে ভারত তার হিমালয়ের তীরের পশ্চিমবঙ্গীয় শহর দার্জিলিংয়ে আরও তিনটি জলবিদুৎ প্লান্টও তৈরি করবে। যেগুলোর দুটিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হবে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির দৈনিক টেলিগ্রাফ।

বাংলাদেশের খবরের বিস্তারিত হলো, দেশটি ভারতকে একটি ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য লিখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ও সেখানে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করবে এই সবগুলো প্রকল্প সম্পর্কেই যেগুলোতে ভারত সরকারের এই যৌথ নদীটির পানিগুলোতে তাদের দিকে কৃষির কাজে ব্যবহারের জন্য নেবার প্রশ্নগুলোও থাকবে।

৪১৪ কিলোমিটার বা ২৫৭ মাইলের তিস্তা নদীটি হিমালয়ের ভারতীয় পশ্চিম অংশ থেকে জন্মেছে ও বাংলাদেশের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বাংলাদেশের মোট ৫৭টি আন্ত:সীমান্ত নদী রয়েছে। তার ৫৪টিই ভারত ও বাকি তিনটি মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসেছে।

যৌথ নদী কমিশনের সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরও বলেছেন, 'তারা (ভারত) আমাদের জানানো উচিত ছিল। তবে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনোকিছুই জ্ঞাত হইনি। এর ফলে আমরা একটি ‘ডেমি-অফিশিয়াল লেটার’ আমাদের ভারতীয় পক্ষকে প্রেরণ করবো, যেখানে এই বিষয়ের মূল জিজ্ঞাস্যগুলো থাকবে ও মূল বিষয়গুলোতে প্রশ্ন করা হবে এবং আমরা আমাদের উদ্বেগ ও সংকট জানাবো, যেগুলোর মধ্যে এমন একটি উদ্যোগ বাংলাদেশে তিস্তার নিম্মধারা কিভাবে প্রভাব ফেলবে সেটিও লেখা হবে।'

‘যৌথ নদী কমিশন সাধারণত বাংলাদেশের মোট ৫৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমিকে শুকনো বা গ্রীষ্মকালীন মৌসুমগুলোতে কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করে। তবে এই বছর মোটে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানি প্রবাহিত করতে পেরেছে। এর কারণ হলো তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহই ছিল না। এর পেছনে তিন্তা নদীতে বাঁধের পাশাপাশি আরো দুটি কৃত্রিম খালের কাজ’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

তিস্তা নদী বাঁধ প্রকল্প মোট ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার জুড়ে, সেটি বাংলাদেশের নীলফামারীর উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। এই প্রকল্পটিকে ভারত ১৯৭৯ সালে চালু করেছে।

‘ভারতের ওপরের অংশ থেকে নিম্মধারায় বাংলাদেশী প্রবাহিত তিস্তা নদীটি দেশটির পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও তাদের জলসেচের কার্যক্রমের জন্য শুকনো বা গ্রীস্মকালীন মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে প্রায় মরে যায়’ এই কথাগুলোর উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে এই নদীটির পানিকে যদি ভাগ করে ফেলা হয় তার ফলে তিস্তার পুরো বাস্তুসংস্থানই তার নিম্মধারায় প্রবলভাবে ভুগবে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একেবারে কম পানি প্রবাহও থাকে না তিস্তা নদীতে শুকনো মৌসুমে, আমরা প্রাপ্য পাই না। তখন কোনো পানি, কোনো মাছ খুঁজে পাওয়া যায় না নদীটিতে। কেবল অসংখ্য চর বা বালির সৈকত থাকে ওপরের প্রাকৃতিকভাবে প্রবাহিত ভারতীয় নদী অংশের পানির ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে।’

মোহাম্মদ আবুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, ‘তারা জোর করে এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছে।’

বাংলাদেশের নৌমন্ত্রী জাহিদ ফারুকও জানিয়েছেন, ভারতের তিস্তা নদীর ওপর নতুনভাবে দুটি বিরাট কৃত্রিম খাল খনন ও দুটি জলবিদুৎ প্রকল্প তৈরির কাজে বাংলাদেশের উদ্বেগ রয়েছে। তিনি রাজধানী ঢাকাতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের সরকার এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করতে নয়াদিল্লীকে বলবে।

সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেহেলি সাবরিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ও ভারতের সাড়া প্রদানের ওপর ভিত্তি করে সঠিক অ্যাকশনে যাবে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর বারবার নিশ্চয়তা প্রদান সত্ত্বে, যেগুলোর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস ও নিশ্চয়তা রয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রতিরোধ হলেও বাংলাদেশ গত ১২ বছর চেষ্টা করেও দীর্ঘকালের পানি-ভাগাভাগির চুক্তিটি প্রতিবেশী ও বড় দেশ ভারতের সঙ্গে করতে পারেনি।

বাংলাদেশের ১১টি ছোট নদী যেগুলোর বেশিরভাগ উত্তরের জেলাগুলোতে প্রবাহিত, সেগুলো তিস্তা নদীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এই নদীর পানি প্রবাহ থেমে যাওয়ায় এই নদীগুলোও মারা যাচ্ছে। এর কারণও হলো, ওপরের ভারতীয় অংশে প্রবাহিত ধারাগুলোতে স্বজ্ঞানে দেশটি পানি প্রবাহ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বাঁধ দিয়ে ও প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে পানি চুক্তি করতে অস্বীকার করছে বা রাজি হচ্ছে না অথবা এগিয়ে আসছে না।

ওএফএস/এএস

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে

এ আর রহমান এবং মোহিনী দে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সংসারের ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় পরকীয়ার কারণে উভয়ের ডিভোর্স হয়। এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তার আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে মোহিনী স্পষ্টই জানালেন, রহমান তার কাছে বাবার মতো।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ‘খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা করা হচ্ছে, তা সত্যি ক্রাইমের পর্যায় পরে।'

মোহিনীর কথায়, ‘আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মোহিনী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত।

দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।

Header Ad

ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই বিশেষ কোনো গোষ্ঠির লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসের চেয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। তবে এখনও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় কিছু শঙ্কা থেকে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কেউ পরিচয় জানতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে। অকারণে কাউকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। কেউ অবৈধ আদেশ দিলে সেটাও পালন করবেন না।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা বেড়ে গেছে। কোনো অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেওয়া যাবে না। কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে যাই বলুক না কেন কাজ করে যেতে হবে। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। কী পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক বা না করুক কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। মব জাস্টিসের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনি প্রক্রিয়ায় বের হওয়ার পর পুনরায় অপকর্মে জড়ালে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। যাদের কাছেই অপরাধের তথ্য থাকে তারা তা দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। আমরা কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কঠোর হতে চাই না।

তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ স্থিতিশীল একটি পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে