তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন শি জিনপিং
তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন শি জিনপিং। দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে শাসকের আসনে থেকে চীনের সবচেয়ে প্রভাশালী নেতা হিসেবে রকের্ড গড়তে চলেছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ মার্চ) দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (সংসদ) তার প্রেসিডেন্ট পদের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সমাজতান্ত্রিক দেশ চীনের সংসদে ২ হাজার ৯৫২ সদস্যের সবাই শি জিনপিংকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোট দেন। এরপর তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয়।
গত বছরের অক্টোবরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শি। ওই সময়ই নিশ্চিত হয় তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব পেলেন এ নেতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্টের পদটি মূলত আনুষ্ঠানিকতা। মূল ক্ষমতার অধিকারী পার্টি চেয়ারম্যান ও সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। আর এ দুটি পদেই রয়েছেন শি।
এ কারণেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শি জিনপিংই আসবেন এটা প্রত্যাশিত ছিল।
বিবিসি বলছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীর নোম ঘোষণার বিষয়টি কয়েক দিনের মধ্যে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এসব পদে শির অনুগতদের নামই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লি কিয়াংকেই বেছে নেবেন শি।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে এসব পরিবর্তন করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বর্তমানে প্রায় সব সিদ্ধান্তই তিনি নেন।
শুক্রবার শি জিনপিংয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও হান ঝেংকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ঝাও লিজেকে সংসদের প্রধান নেতা বানানো হয়। তারা সবাই গ্রেট হল অব দ্য পিপলের ভেতর দেশের সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেন।
শি জিনপিং প্রথমবার যখন ক্ষমতায় আসেন তখনো চীনের সংবিধানে ছিল, কেউ দুই মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি সময় প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তন করে এ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। মূলত নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এ উদ্যোগ নেন শি।
এসএন