ট্রাম্পের অভিবাসননীতিতে ফিরতে বাধা হলেন বাইডেন
বাধ্য হয়েই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতিতে ফিরলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুরু থেকেই এ নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন বাইডেন। ক্ষমতায় এসেই আইনটিকে 'অমানকিব' বলে স্থগিত করলেও পুনবর্হালে নির্দেশ দেন বাইডেন। এরপরই ওই নীতি বহালের পদক্ষেপ নেয় হোয়াইট হাউস। বিবিসি জানান।
আগামী ৬ ডিসেম্বর বা এর কাছাকাছি সময়ে ট্রাম্পের অভিবাসননীতি পুনর্বহাল করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে, দেশটির অভিবাসন কাউন্সিল আইনিটিকে পুনবর্হালের সিদ্ধান্তকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশের আইন ব্যবস্থার একটি 'কালো দিন' বলে আখ্যা দিয়েছে
অন্যদিকে, সীমান্তে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উপায় হিসেবে বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রিপাবলিকানরা।
অভিবাসী ঢল থামানোর নাম করে অভিবাসী সুরক্ষা চুক্তি-এমপিপি নামে নীতি চালু করেন ট্রাম্প। সরকারি নাম এমপিপি হলেও ওটাকে 'রিমেইন ইন মেক্সিকো' বা 'মেক্সিকোয় থাকো' কর্মসূচি বলতেন তিনি।
নীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় তাদের মেক্সিকোতে অপেক্ষা করতে হবে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের প্রবেশ সীমিত করতেই ওই নীতি করা হয়। সেই সময়ে ওই নীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া মধ্য যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ ব্যক্তিকে মেক্সিকোয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুরু থেকেই এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বাইডেন ও মানবাধিকারকর্মীরা।
নির্বাচনী প্রচারে এমপিপিকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে তা পরে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন এই ডেমোক্র্যাট নেতা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই কর্মসূচিটি বাতিলের উদ্যোগ নেন বাইডেন। জুনে প্রথা মেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস নীতিটি বাতিল করে দেন। তবে, বাতিলের প্রক্রিয়াটি যথাযথ ছিল না বলে আগস্টে রায় দেন কেন্দ্রীয় আদালতে ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া বিচারক ম্যাথু ক্যাকসমারিক। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বাইডেন প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট তার অতীত অবস্থানে অটল রয়েছেন। তবে আমরা আইন অনুসরণেও বিশ্বাস করি।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার মেক্সিকো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালতের তারিখের অপেক্ষায় থাকা মধ্য আমেরিকার নাগরিকদের নিজ দেশে পাঠানো হবে না। মানবিক কারণে অস্থায়ীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো।
এমপিপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সর্বশেষ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার ও অভিবাসী সংস্থা। আইনটি পুনর্বহাল করা হলে সীমান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোতে অপরাধ ও সহিংসতা বাড়বে। অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর আগেও মাসের পর মাস ধরে সেখানে অপেক্ষা করা আশ্রয়প্রার্থীরা প্রায়ই সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হয়।
কেএফ/