সৌদি আরবে সার কারখানা নির্মাণের প্রস্তুতি বাংলাদেশের
সৌদি আরবে সার কারখানা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সৌদির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সারের সমস্যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর চাহিদা মেটাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে এই কারখানার সম্ভাব্যতা ও কার্যকারিতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডিজ) বিষয়ক একটি বৈঠক হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তিও সই হয়েছে।
বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় ও সৌদির বাংলাদেশি দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন এবং হানওয়া সৌদি কন্ট্রাক্টিং কোম্পানির প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিল বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরিফ মোহম্মদ মাসুদ আরব নিউজকে বলেন, সৌদিতে যে কারখানাটি নির্মাণ হতে যাচ্ছে, সেটিতে ডায়ামোনিয়াম ফসফেট সার প্রস্তুত করা হবে। প্রায় এক বছর ধরে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর বুধবারের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় ছয় মাস। রিপোর্ট আসার পরই সৌদি সরকারের সঙ্গে কারখানা নির্মাণসংক্রান্ত চুক্তি বিষয়ক আলোচনা শুরু হবে। আমরা আশা করছি, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই আমরা কারখানা নির্মাণ করে উৎপাদন শুরু করতে পারব।
শরিফ মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে চাহিদা, তার মাত্র ৩০ শতাংশ সার উৎপাদন করতে পারছি আমরা। জ্বালানি সংকটের কারণে অধিকাংশ কারখানা তার সামর্থ্য অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না।
সৌদিতে সার কারখানা নির্মাণের মূল কারণ—দেশটিতে জ্বালানি সহজলভ্য। যদি কারখানাটি প্রস্তুত করা হয়, তাহলে এটি হবে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রথম বিদেশের মাটিতে নির্মিত কোনো কারখানা।
এসএন