পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৮, আহত ১৫০
পাকিস্তানের পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের উদ্ধার করে লেডি রিডিং হাসপাতালে (এলআরসি) পাঠানো হয়েছে।
লেডি রিডিং হাসপাতালের এক মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোহরের নামাজের সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদের ভেতর পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের সদস্যরা রয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ডনের এক প্রতিবেদক জানান, বিস্ফোরণে বিল্ডিংয়ের একটি অংশ ধসে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, বিল্ডিংয়ের ভাঙা অংশ নামাজে যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের উপর পড়ে।
ভিডিওতে মসজিদের ধসে পড়া দেয়ালের চারপাশে মানুষজন জড়ো হতে দেখা গেছে।
মসজিদে বোমা লাগানো ছিল নাকি এটি আত্মঘাতী হামলা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। মসজিদের আশপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছর পেশোয়ারের কোচা রিসালদার এলাকায় একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শোরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরীফ বলেন, এই ঘটনার পেছনে হামলাকারীদের ইসলামের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ভয় তৈরি করতে চায়।
শেহবাজ শরীফ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক টুইট বার্তায় এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইমরান খান বলেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং সমবেদনা। সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উন্নতি এবং পুলিশ বাহিনীকে যথাযথভাবে সজ্জিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসজি