শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিবিসির প্রামাণ্যচিত্র নিষিদ্ধ করলেন মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে করা বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ২০ বছর আগে গুজরাটে হওয়া ভয়াবহ দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছে বিবিসি।

তবে প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রচন্ড আক্রমণ হিসেবে দেশে ও বিদেশে তিনি এবং তার সরকার সমালোচিত হচ্ছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে জরুরী অবস্থার ক্ষমতাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে ও সরকারের তথ্য এবং প্রযুক্তি আইনগত যথেষ্ট ক্ষমতাগুলোর একটি প্রদর্শিত হয়েছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ডের ভিডিওগুলো শেয়ার করে তারা যুদ্ধপ্রিয় ও শত্রুভাবাপন্ন প্রপাগান্ডা করেছেন ও ভারতবিরোধী আবর্জনাটি তৈরি করেছেন, যেগুলোকে তারা সাজিয়েছেন প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে। দেশের সাবভৈমত্বের আইনগুলো ও নীতিমালা অনুসারে ইউটিউব ও টুইটারে শেয়ার লিংকগুলোতে প্রচারিত বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রটিও ভারতের অধীনে নিষিদ্ধ।’

তিনি জানিয়েছেন, তার ‘দেশের আইন অনুসারে নিয়মটি প্রতিপালিত হবে।’

সিএনএন এই বিষয়ে টুইটার ও ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি।

এই প্রামাণ্যচিত্রের নেপথ্য নায়ক ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০০২ সালে তার জন্মস্থান গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তার শীর্ষ ক্ষমতায় যাত্রা। সেই ২০০২ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও সংখ্যালঘিষ্ট প্রধান জনগোষ্ঠী মুসলিমরা মুখোমুখি রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের ভয়াবহ সংঘাতে একটি ট্রেনে বোমা হামলা হয়েছে ও কয়েক ডজন হিন্দু মারা গিয়েছেন। এই হামলার জন্য তারা মুসলিমদের দায়ী করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো (প্রধানত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও শিবসেনা এবং বিজেপি) মুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জানমালের ওপর রক্তের লেলুপতায় হামলে পড়েছেন। ১ হাজারের বেশি মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই মুসলমান। তবে কত মুসলিম নারীর ইজ্জতহানি হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। কত মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে তথ্যও চিরকালের জন্য চাপা পড়েছে।

দুঁদে রাজনীতিবিদ ও হিন্দু ধর্মীয় রাজনীতির সিংহপুরুষ নরেন্দ্র মোদী ভারতের ক্ষমতার সিংহাসন প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ২০১৪ সালে। অভিযোগ আছে, বরাবরের মতো বিজেপির তুরুপের তাস ও কার্যক্ষেত্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও চরম হিন্দুবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিয়ে তিনি ও তার দল ক্ষমতায় এসেছে।

ভারতের ১০৩ কোটি মানুষের ৮০ ভাগই হিন্দু। আরও অভিযোগ আছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে দাঙ্গা ও সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং রক্তের হোলি খেলাকে দমানো ও থামানোর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তবে তিনি বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। তারপরও কালেক্রমে তার বিপক্ষে সরকারি ভাবে অন্যদের সহযোগিতায় আইনী কার্যক্রম চলছে।

২০১২ সালে ভারতের সুপ্রিম কোট নরেন্দ্র মোদী ও তার গুজরাট সরকারের বিপক্ষে একটি বিশেষ ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারী তদন্ত দল প্রেরণ করেছে। তবে তারা ফিরে এসে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, মোদীকে দোষারোপ করার মতো কোনো তথ্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরও তাকে নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনার শেষ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির প্রামাণ্য চিত্রটিকে একটি প্রপাগান্ডা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটি সাজানো হয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিন্দিত করার উদ্দেশ্যে।’ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে আলাপকালে আরও বলেছেন, ‘এর পেছনের এজেন্ডা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে এবং এমন প্রচেষ্টাগুলোকে খোলাখুলিভাবে আমরা মর্যাদাদান করতে ইচ্ছুক নই।’ এই মন্তব্যে সাড়া দিয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটি ছিল, অক্ষরে, অক্ষরে গবেষণার মাধ্যমে সর্বোচ্চ এডিটোরিয়াল মানদন্ডে সেরা উপায়ে নির্মিত।’ তাদের এই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বিবিসি যোগাযোগের পর ভারত সরকার উত্তরদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’ এবিষয়ে সিএনএন তাদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিবিসি এখনো সাড়া দেয়নি।

তবে এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র আর. পি. সিং বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রামাণ্যচিত্রটিকে নিষিদ্ধ করায় খুশি হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোকে সামনে রেখে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ভাবমূর্তিকে কলংকিত করার একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

তবে তার বিরোধী কংগ্রেসের অন্যতম বিধানসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রী বলেছেন, ‘এই সরকার অগ্রহণযোগ্য প্রচণ্ড সেন্সর হামলা চালাচ্ছে। বিবিসি কী দেখালো তার প্রমাণ বা অপ্রমাণের দায় ও ভার যারা দেখেছেন তাদের ওপর বর্তায়।’

বিবিসির কাছে থাকা ভারতের সাবেক উপনিবেশিক শাসক ব্রিটিশ সরকারের একটি অপ্রকাশিত রিপোটও বিবিসি তাতে সম্প্রচার করেছে এবং এই সরকারী সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, একটি কূটনৈতিক তার হিসেবে তারা প্রচার করেছেন। সেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তখন ২০০২ সালে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব জ্যাক স্ট্র বলেছেন বিবিসির প্রশ্নের উত্তরে ফিচারগুলোর বিভাগে, ‘মোদী পুলিশকে পাঠানোর উল্টো পন্থা অবলম্বন করেছেন ও শান্তভাবে হিন্দু চরমপন্থীদের উৎসাহিত করেছেন।’

বিবিসির ভারত ও প্রধানমন্ত্রীর ওপর করা এই প্রামাণ্যচিত্র সিরিজের প্রথমটি ১৭ জানুয়ারি তারা সম্প্রচার করেছেন। আজ দ্বিতীয় এই অংশ সম্প্রচারের কথা ছিল। তবে ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ায় সেই পথে আর যায়নি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস।

ওএফএস/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত