শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিবিসির প্রামাণ্যচিত্র নিষিদ্ধ করলেন মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে করা বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ২০ বছর আগে গুজরাটে হওয়া ভয়াবহ দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছে বিবিসি।

তবে প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রচন্ড আক্রমণ হিসেবে দেশে ও বিদেশে তিনি এবং তার সরকার সমালোচিত হচ্ছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই প্রামাণ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে জরুরী অবস্থার ক্ষমতাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে ও সরকারের তথ্য এবং প্রযুক্তি আইনগত যথেষ্ট ক্ষমতাগুলোর একটি প্রদর্শিত হয়েছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ডের ভিডিওগুলো শেয়ার করে তারা যুদ্ধপ্রিয় ও শত্রুভাবাপন্ন প্রপাগান্ডা করেছেন ও ভারতবিরোধী আবর্জনাটি তৈরি করেছেন, যেগুলোকে তারা সাজিয়েছেন প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে। দেশের সাবভৈমত্বের আইনগুলো ও নীতিমালা অনুসারে ইউটিউব ও টুইটারে শেয়ার লিংকগুলোতে প্রচারিত বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রটিও ভারতের অধীনে নিষিদ্ধ।’

তিনি জানিয়েছেন, তার ‘দেশের আইন অনুসারে নিয়মটি প্রতিপালিত হবে।’

সিএনএন এই বিষয়ে টুইটার ও ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি।

এই প্রামাণ্যচিত্রের নেপথ্য নায়ক ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০০২ সালে তার জন্মস্থান গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তার শীর্ষ ক্ষমতায় যাত্রা। সেই ২০০২ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও সংখ্যালঘিষ্ট প্রধান জনগোষ্ঠী মুসলিমরা মুখোমুখি রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের ভয়াবহ সংঘাতে একটি ট্রেনে বোমা হামলা হয়েছে ও কয়েক ডজন হিন্দু মারা গিয়েছেন। এই হামলার জন্য তারা মুসলিমদের দায়ী করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো (প্রধানত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও শিবসেনা এবং বিজেপি) মুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জানমালের ওপর রক্তের লেলুপতায় হামলে পড়েছেন। ১ হাজারের বেশি মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই মুসলমান। তবে কত মুসলিম নারীর ইজ্জতহানি হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। কত মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে তথ্যও চিরকালের জন্য চাপা পড়েছে।

দুঁদে রাজনীতিবিদ ও হিন্দু ধর্মীয় রাজনীতির সিংহপুরুষ নরেন্দ্র মোদী ভারতের ক্ষমতার সিংহাসন প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ২০১৪ সালে। অভিযোগ আছে, বরাবরের মতো বিজেপির তুরুপের তাস ও কার্যক্ষেত্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও চরম হিন্দুবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিয়ে তিনি ও তার দল ক্ষমতায় এসেছে।

ভারতের ১০৩ কোটি মানুষের ৮০ ভাগই হিন্দু। আরও অভিযোগ আছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে দাঙ্গা ও সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং রক্তের হোলি খেলাকে দমানো ও থামানোর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তবে তিনি বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। তারপরও কালেক্রমে তার বিপক্ষে সরকারি ভাবে অন্যদের সহযোগিতায় আইনী কার্যক্রম চলছে।

২০১২ সালে ভারতের সুপ্রিম কোট নরেন্দ্র মোদী ও তার গুজরাট সরকারের বিপক্ষে একটি বিশেষ ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারী তদন্ত দল প্রেরণ করেছে। তবে তারা ফিরে এসে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, মোদীকে দোষারোপ করার মতো কোনো তথ্য প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরও তাকে নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনার শেষ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির প্রামাণ্য চিত্রটিকে একটি প্রপাগান্ডা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটি সাজানো হয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিন্দিত করার উদ্দেশ্যে।’ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে আলাপকালে আরও বলেছেন, ‘এর পেছনের এজেন্ডা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে এবং এমন প্রচেষ্টাগুলোকে খোলাখুলিভাবে আমরা মর্যাদাদান করতে ইচ্ছুক নই।’ এই মন্তব্যে সাড়া দিয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটি ছিল, অক্ষরে, অক্ষরে গবেষণার মাধ্যমে সর্বোচ্চ এডিটোরিয়াল মানদন্ডে সেরা উপায়ে নির্মিত।’ তাদের এই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বিবিসি যোগাযোগের পর ভারত সরকার উত্তরদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’ এবিষয়ে সিএনএন তাদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিবিসি এখনো সাড়া দেয়নি।

তবে এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র আর. পি. সিং বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রামাণ্যচিত্রটিকে নিষিদ্ধ করায় খুশি হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোকে সামনে রেখে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ভাবমূর্তিকে কলংকিত করার একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।

তবে তার বিরোধী কংগ্রেসের অন্যতম বিধানসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রী বলেছেন, ‘এই সরকার অগ্রহণযোগ্য প্রচণ্ড সেন্সর হামলা চালাচ্ছে। বিবিসি কী দেখালো তার প্রমাণ বা অপ্রমাণের দায় ও ভার যারা দেখেছেন তাদের ওপর বর্তায়।’

বিবিসির কাছে থাকা ভারতের সাবেক উপনিবেশিক শাসক ব্রিটিশ সরকারের একটি অপ্রকাশিত রিপোটও বিবিসি তাতে সম্প্রচার করেছে এবং এই সরকারী সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, একটি কূটনৈতিক তার হিসেবে তারা প্রচার করেছেন। সেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তখন ২০০২ সালে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব জ্যাক স্ট্র বলেছেন বিবিসির প্রশ্নের উত্তরে ফিচারগুলোর বিভাগে, ‘মোদী পুলিশকে পাঠানোর উল্টো পন্থা অবলম্বন করেছেন ও শান্তভাবে হিন্দু চরমপন্থীদের উৎসাহিত করেছেন।’

বিবিসির ভারত ও প্রধানমন্ত্রীর ওপর করা এই প্রামাণ্যচিত্র সিরিজের প্রথমটি ১৭ জানুয়ারি তারা সম্প্রচার করেছেন। আজ দ্বিতীয় এই অংশ সম্প্রচারের কথা ছিল। তবে ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ায় সেই পথে আর যায়নি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস।

ওএফএস/এএস

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার