সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ৪৭ নাগরিককে ফেরত আনল ফ্রান্স
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে আইএস এর জেলখানা থেকে ১৫ জন নারী ও ৩২জন শিশুকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘৩২ শিশুকে চিকিৎসা ও সামাজিক সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে আর বয়স্কদের আইনী কৃর্তপক্ষের মুখোমুখি করা হবে।'
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ফ্রান্স তাদের ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম স্বদেশী প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি সম্পন্ন করল।
গেল এক দশকে আইএস (ইসলামিক স্টেট) ভুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে ও যোদ্ধা হওয়ার জন্য হাজারেরও বেশি ইউরোপিয়ান নানাভাবে সিরিয়াতে পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের স্বঘোষিত খেলাফতের বাসিন্দা হওয়ার জন্য ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যে ‘আইএস’ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তারা তাদের পরিবারকে নিয়ে গিয়েছেন।
তবে ২০১৯ সালে প্রবল আক্রমণের মুখে আইএস খেলাফতের পতন ঘটেছে ও যেসব আইএস ইসলামিক যোদ্ধা মারা গিয়েছেন ও যুদ্ধে আহত এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনা ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িছে। তারা এই লক্ষ্যে সবসময় কাজ করছেন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর চাপের মুখে আরও কার্যকর হয়েছেন তারা।
এর আগে, গেল বছরের অক্টোবরে রাজধানী প্যারিসে নিজের দেশের ১৫ জন নারী, আইএস যোদ্ধার স্ত্রী এবং তাদের ৪০ জন শিশু সন্তানকে ফিরিয়ে এনেছে ফ্রান্স।
২০২২ সালেরই জুন মাসে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স সরকারের উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তারা প্রথম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগটি গ্রহণ করেন। প্রথম দলে ১৬ জন মা ও ৩৫ জন শিশু দেশে ফিরতে পেরেছে।
এবারের প্রত্যাবর্তিত মানুষরা সিরিয়ার ভেতরে ইরাক ও তুরস্কের সীমান্ত থেকে প্রায় ৯ মাইল বা ১৫ কিলোমিটার দূরে কুর্দিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল রোজ ক্যাম্পের।
প্রত্যাবাসনের পর ফ্রান্স সরকার স্থানীয় প্রশাসনগুলোকে এবং সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাসকদের সাহায্য প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে ও জানিয়েছে, ‘তাদের সাহায্যের ফলে এই অপারেশন সফল হয়েছে’।
ওএফএস/এএস