পেরুতে সশস্ত্র সংঘর্ষে নিহত ১৭
পেরুর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হুলিয়াকা শহরের বিমানবন্দরের কাছে সশস্ত্র সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন মানুষ মারা গিয়েছেন।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) শহরের স্থানীয় প্রধানের অফিস সূত্রে জানা গেছে, হুলিয়াকা বলিভিয়ার সীমান্তের পাশে পেরুর পুনো প্রদেশে ব্যাপকভাবে ৪ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সরকারবিরোধীদের আন্দোলনে শহরটি এখন চরম উত্তপ্ত।
সরকারবিরোধী প্রতিবাদকারীরা পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক বিদ্যালয় শিক্ষক এবং বামপন্থী শীর্ষ রাজনীতিবিদ পেদ্রো কাস্তিয়োর সমর্থক। তারা উপ-রাষ্ট্রপতি ও নবনিযুক্ত ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিনা বেলোয়ার্তের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করছে। তারা শহরের বিমানবন্দরটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে আইনী বাহিনীগুলোর সদস্যদের সঙ্গে প্রবল ও ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর এই ১৭ জন রাজনৈতিক কর্মী ও বামপন্থী নিহত হন।
শহরের স্থানীয় প্রধানের অফিস টুইটারে জানিয়েছে, ‘আমরা আইনী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম-ন্যায়সঙ্গত, প্রয়োজনীয় ও আনুপাতিক শক্তি ব্যবহার করতে এবং আমরা প্রদেশটির লিগ্যাল প্রসিকিউটরের অফিসকেও জোরালো সুপারিশ করেছিলাম যে, তৎপরতার সঙ্গে কারণগুলো অনুসন্ধানের জন্য একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।’
লাতিন আমেরিকার অন্যতম দেশ, মাচুপিচ্চু ও ইনকা সভ্যতার পেরুতে সরকারবিরোধী এই আন্দোলন ও সহিংসতার শুরু হয়েছে ডিসেম্বরের শুরুতে। আমাজনের এই দেশটিতে তখনকার প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োকে সরিয়ে দেওয়া এবং গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার সমর্থকরা মাঠে নেমে আসেন। তাকে আইনী বিচার শুরু হওয়ার আগে বিদ্রোহ করার জন্য ১৮ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে কারাগারে বন্দী এই বাম রাজনীতিবিদ অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। গেল সপ্তাহে তার সমর্থকরা একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।
তার সমর্থকরা আগাম নির্বাচন, কংগ্রেস ভেঙে দেওয়া এবং সংবিধানের পরিবর্তনের জন্যও অন্দোলন করছেন।
ওএফএস/এএস