ব্রাজিলে দাঙ্গা, গ্রেপ্তার ২০০
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কট্টরপন্থি নেতা জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন। দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দেশটির সাবেক জাইর বলসোনারোর সমর্থকদের এই কর্মকাণ্ডের পর তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দেশটির বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো জানিয়েছেন, দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট ভবন, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকার পরিস্থিতিও এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে এ সব স্থান থেকে বলসোনারোর সমর্থকদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
ডিনো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি সন্ত্রাসবাদ, এটি একটি অভ্যুত্থান। আমরা নিশ্চিত জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই অন্ধকার বাস্তবায়ন করতে চায় না। এ সময় তিনি ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অক্টোবরে নির্বাচনের পর থেকেই বোলসোনারোর সমর্থক ও অনুগামীরা দেশের নানা প্রান্তে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) তা চরম আকার ধারণ করেছে। এদিন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালায় সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা। সংঘবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন আক্রমণ করেন তারা। এ সময় ঘিরে ফেলা হয় ব্রাজিলের কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টও।
গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থি বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থি লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় এই হামালার জন্য তিনি আগের প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলোসোনারো এখন পর্যন্ত নিজের হার স্বীকার করেননি। বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আয়োজিত নির্বাচনে পরাজয়কে তিনি ভোট গণনায় কারচুপি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও অক্টোবরে পরাজয়ের পরেই দেশ ছেড়েছেন বোলসোনারো। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় থাকেন।
আরএ/