করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৪৩৪
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ১ হাজার ৪৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ লাখ ৯ হাজার ৪১২ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা পৌঁছালো ৬৬ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ জনে। এদের মধ্যে ৬৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জাপানে। আর দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় জাপানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির এ তালিকায় এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চিলি, স্পেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ জন এবং মারা গেছেন ৪৫৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৪ হাজার ৩৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৮ হাজার ৯৫২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং মারা গেছেন ২০১ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ লাখ ২১ হাজার ৫৯ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৯৮ জন। এ সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৬৫ জন। রাশিয়ায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৮৩ জন। তবে এ সময়ে দেশটিতে করোনায় কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৬৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৭৫ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। চিলিতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৫ হাজার ৩৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/