বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বের বৃহৎ বিমানন্দর হচ্ছে জেদ্দায়

রাজধানীর বর্তমান রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানন্দরটি চলে যাবে মক্কা প্রদেশের জেদ্দা শহরে। এখানে সৌদি আরবের বিমান পরিবহনের উচ্চতম পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এর নাম ‘দ্য কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। সোমবর (২৮ নভেম্বর) রিয়াদে বিশ্ব পর্যটন ও ভ্রমণের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে ঘোষণাটি প্রদান করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ।

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব কেবল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবন্দরই তৈরি করতে যাচ্ছে না, রাজ্যটির ব্যবসা ও পর্যটনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হবার বাসনায় বিরাট উন্নতিসাধনও তাতে করা হবে।’ তিনি মহা-পরিকল্পনার ত্রিমাত্রিক নকশা অনুমোদন ও প্রকাশ করেছেন।

রিয়াদের পুরোনো বিমানবন্দরকে নতুন যে বিমানবন্দর করবেন তিনি, থাকবে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক শহর রিয়াদে। বর্তমান রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের কিং খালেদের নামে প্রতিষ্ঠিত টার্মিনালগুলো এমনভাবে বাড়ানো হবে-যাতে ২০৫০ সালের মধ্যে ৩.৫ মিলিয়ন কার্গো মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা হবে। কেননা একই সঙ্গে ছয়টি রানওয়ে কার্যরত থাকবে।

কিং সালমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই অ-তেলখাতে দেশীয় আয় হিসেবে বছরে ২৭ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করতে পারবে দেশটি।

সৌদি আরবের এই বিমানবন্দরটি ২৯ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯০ লাখ বিমানযাত্রী পরিবহণ করবে শুরুতে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১শ ২০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৫০ সালের মধ্যে ১শ ৮৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনেরও স্বক্ষমতা সম্পন্ন করে তৈরি করা হচ্ছে।

ফলে দেশের ২ লাখ ১১ হাজার বিমান ট্রাফিকিং থেকে নির্মাণের পর থেকে এখানেই প্রতি বছরে ১ মিলিয়ন ফ্লাইট ওঠা, নামা করানো সম্ভব হবে।

মূল স্থাপনাগুলোর ক্ষেত্রে নতুনভাবে তৈরি বিমানবন্দরটি অর্জন করবে ‘এলইডিডি প্রিমিয়াম সাটিফিকেট’। ‘লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল ডিজাইন (এলইডিডি)’ হলো বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত সবুজবান্ধব ভবন নির্মাণের একটি সেরা প্রত্যয়নপত্র। কানায়, কানায় ছড়িয়ে থাকবে সবুজ।

আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরের শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি-জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এই উন্নয়নকর্ম সম্পাদন করা হবে সৌদি সরকারের ‘দ্য পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এ। তারা নিজেরাই এখানে বিনিয়োগ করবেন। বিমানবন্দরটি হয়ে যাবে ‘এয়ারোট্রপলিস’, যেটি ঘিরে শহর বা শহরাঞ্চলগুলো গড়ে ওঠে। বিরামহীনভাবে সর্বক্ষণ তার ক্রেতা ভ্রমণকারীদের সেবা প্রদান করে যাবে।

বিশ্বমানের সুদক্ষ অপারেশন সার্ভিসগুলো পরিচালিত হবে। নানা ধরনের উদ্ভাবন থাকবে। রাজধানী রিয়াদের আত্মপরিচয় বহন করবে। রাজধানী শহর ও সৌদিদের সংস্কৃতিকে যুক্ত করা হবে বিমানবন্দরের নকশাতে। যারা নানা জায়গায় যাওয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং যারা দর্শনাথী হবেন তাদের দেশে, যারা কাজ করবেন এখানে; তাদের সবার জন্যই একটি অনন্য বিমানভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে বিমানবন্দরটি।

বিমানবন্দর প্রকল্পটি হবে সৌদি আরবের ‘রাজধানী রিয়াদকে বিশ্বের সেরা ১০টি অথনৈতিক শহরের প্রধান’ হিসেবে রূপান্তরের জীবনপ্রবাহ।এ ছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর জনসংখ্যা দেড় থেকে ২ কোটিতে উন্নীত হওয়ার পরও তার উন্নয়নকে প্রবলভাবে সমর্থন জানাবে।

দ্য কিং সালমান এয়ারপোর্টে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ চাকরির ব্যবস্থা থাকবে।
এই মহা-পরিকল্পনাটির বিস্তারিত এসপিএ জানাতে পারেনি। তবে পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্বভৌম আর্থিক বিনিয়োগ তহবিলটির মাধ্যমে তাদের বিমান চালনা বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগ বিরাট অনুদানগুলো লাভ করতে যাচ্ছে।

এ ছাড়া, এই বিমানন্দরের বাস্তুসংস্থান প্রকৃতিবান্ধব হবে। সেখানে অত্যন্ত উন্নত ও সেরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে কার্গো বিমান ও যাত্রী পরিবহনের বিমানগুলো চলাচল করতে পারবে। বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিমানগুলোকে মেরামত করতে পারবেন। ৭৭ বছরের সৌদি আরবের সরকারী সাউদিয়া এয়ারলাইনসকে নিয়ে যাওয়া হবে রেড সি বা লাল সাগর তীরবর্তী ও মক্কা প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর জেদ্দাতে।

যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই কর্মকৌশল দুটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশটি কথা বলছে ইউরোপের বহুজাতিক বিমান নির্মাতা সংস্থা এয়ারবাস এসই’র সঙ্গে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নকশা, প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কো’র সঙ্গে দুটি ক্যারিয়ার কিনতে।
গতকাল থেকে রিয়াদে শুরু হওয়া বিশ্ব পযটন ও ভ্রমণের বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন এই বছরের সবচেয়ে বড় পর্যটন আয়োজনের একটি। করা হচ্ছে কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে। এবারের বিষয়-‘উন্নত ভবিষ্যতের জন্য ভ্রমণ’।

ওএফএস/

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

শারমিন আক্তার সুপ্তার প্রথম সেঞ্চুরি হয়েও আর হলো না। ৯৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা সুপ্তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পেয়েছে নারী দলের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচের সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন শারমিন সুপ্তা। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়তেও পারতেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম হান্ড্রেডের মালিক হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েছেন সুপ্তা।

সাজ ঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ৮৯ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল ২৫০। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। তবে এবার আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ রেখে ঘরের মাঠে আইরিশ মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ব্যাট করতে নেমে উইকেট অক্ষত রাখতে পারলেও শুরুর দিকে বেশ মন্থর ছিলেন ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্‌বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। তবে ততক্ষণে ১৮ ওভারেরও বেশি খেলা শেষ হয়ে যায়।

৬১ বলে ৩৮ রান করে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানা হক। চার বাউন্ডারিতে ১১০ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন শারমিন সুপ্তা। রানের গতিও বাড়ছিল।

বাংলাদেশের ইনিংসে সাধারণত এক উইকেট পড়লে পরপর আরও কয়েকটি পড়ে যায়। আজ এ জায়গায় বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক মেয়েদের। এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জ্যোতি। ২৮ বলে সমান সংখ্যক রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

অন্য প্রান্তে ইতিহাসের হাতছানি ছিল সুপ্তার সামনে। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ফ্রেয়া সার্জেন্টের বলে আর্লেন কেলির হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় শারমিন সুপ্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪টি চারের মারে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা আক্তার (১৩) ও সুবহানা মোস্তারি (৫)। আইরিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।

Header Ad

নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড মডেল ও অভিনেতা নিরব হোসেনের এক দশকের সংসার জীবনে ফাটল ধরেছে। সামাজিক মাধ্যমে তার স্ত্রী কাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব এমন দাবি করে আজ বুধবার ভোররাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন ঋদ্ধি।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘বউ বাচ্চা ফেলে সাথে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে। আবার যোগাযোগ করে আমি কিছুক্ষণ পর আপলোড করব! যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয় কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকতে দেব না।

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে ঋদ্ধি লেখেন, নিরব হোসেন আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য। আমাকে অবশ্য আপনার কখনোই পছন্দ ছিল না! তাই আপনার ভালোবাসার মানুষও আমি বিগত ১১ বছরে একদিনের জন্যও ছিলাম না! কিন্তু আপনি আমার সব ছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে অনেক সুন্দরী নারীদের হারানোর কষ্ট নিজের বুকে চেপে দয়া দাক্ষিণ্য করে আমার সাথে থাকার জন্য, এডজাস্ট করে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

নিরবকে মুক্ত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজকে থেকে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে কদাকার সংগহীন হলেন! ঋদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম আপদ আপনার সুন্দর জীবনের ধারে কাছে আর না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনি আসলেই অসম্ভব ভালো একজন মানুষ যে কখনো কারো খারাপ করতে পারেন না। অন্তত আমি ২০১৪-২০২৪ এর মাঝে কখনো দেখিনি আপনি মানুষ হিসেবে খারাপ। শুধুমাত্র আমিই ছিলাম আপনার চক্ষুশূল এবং একমাত্র বিরক্তির কারণ! এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

তাদের শুরুর কথা স্মরণ করিয়ে ঋদ্ধি লেখেন, ২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা বাবা সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না! আপনার সব সমস্যার কারণ হওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দিস টাইম উই আর ডান ফরএভার।

সর্বশেষ নায়কের স্ত্রী লেখেন, আমি জানি না পরবর্তীতে আপনার নতুন পার্টনারকে আমি কিভাবে সহ্য করব। শুধু অতটুকুর জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সেই শক্তিটা দেয় যে আপনাকে আর বিরক্ত করতে আমার না হয়। আপনি যেন অসাধারণ যোগ্য পার্টনার পান সেই দোয়া করি এই আজানের সময়! সরি ফর অল যাই পজেজিভনেস এ্যান্ড মেন্টাল টরচারস। আমাকে মন থেকে মাফ করে দিয়েন।

এদিকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিরবেরও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়। দুই মাসের সফরে দেশের বাইরে আছেন তিনি। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নিরবের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে নিরব-ঋদ্ধি ঘরে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান