ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি
ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশকে কেটে আলাদা করে নিয়ে পৃথক একটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা গঠনের জন্য রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নেতারা বারবার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্য ভাঙবে এই বিতর্ক প্রবল। তবে দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ভাঙার জন্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাস করাতে হবে। আর বিজেপির দাবি, ডিসেম্বরেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পড়ে যাবে।
এই বিতর্কের মধ্যে পৃথক গোর্খাল্যান্ড দাবিতে ফের সরব গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলাকে নিয়ে গোর্খাল্যান্ড গঠনের সময় এসে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কি বিমল গুরুং ফের বিজেপি শিবিরে? জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভোটের সময় থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ ত্যাগ করেছিলেন।
পৃথক গোর্খাল্যান্ড দাবিতে ফের সরব গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যদিও সাম্প্রতিক সবকটি স্থানীয় নির্বাচনে সংগঠনটি একেবারেই জনভিত্তি হারিয়েছে। যে গুরুংয়ের নির্দেশে দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় কোনো পাতা নড়ত না বলে রাজনৈতিক বিতর্ক ছিল তা এখন আর নেই। তবে বিমল গুরুং পৃথক গোর্খাল্যান্ড দাবিতে অনড়়।
আগামী মাসে দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে মিছিল করার জন্য পার্বত্যাঞ্চলের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন গুরুং। তিনি বলেন, সময় এসে গেছে গোর্খাল্যান্ড তৈরির।
জিটিএ এবং দার্জিলিং পুরসভার ভোটে ক্ষমতা হারিয়েছেন বিমল গুরুং। পাহাড়ি এলাকায় এখন অনীত থাপা ও অজয় এডওয়ার্ডের ক্ষমতা। আর গুরুং চাইছেন সবকটি পাহাড়ি দলকে নিয়ে যৌথভাবে দিল্লিতে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মিছিল করতে।
গুরুং জানান, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর দিল্লিতে সমাবেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি যে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিল তা বাস্তবায়িত করার সময় এসে গেছে।
বিহার, আসামের কিছু অংশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৮টি জেলা (উত্তরবঙ্গ) ভেঙে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার যে বিতর্ক চলছে তার মাঝে আলাদা গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গোজমুমো নেতা বিমল গুরুং যেমন সরব, ঠিক তেমনি পৃথক কামতাপুর স্বশাসিত এলাকার দাবিতে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও (কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন) জঙ্গি প্রধান জীবন সিংহ।
এসজি