ইরানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী সহযোগিতা’র অভিযোগ জেলেনস্কির
ইরানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী সহযোগিতার’ অভিযোগ এনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিযাকে ড্রোন সহায়তা করা নিয়ে ইরান মিথ্যা বলছে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি ইরান স্বীকার করেছে। তবে ইরানের দাবি, এসব ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েক মাস আগে রাশিয়াকে দেওয়া হয়েছে। ইরানের এ বক্তব্যের পরই তারা মিথ্যা কথা বলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের মূল অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলোতে হামলার জন্য রাশিয়া ইরানের তৈরি ‘কামিকাজে’ ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছিল। তবে ইরান ও রাশিয়া উভয় দেশই আগে এটি অস্বীকার করেছিল।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার ব্যাপক হামলার পর ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। আর এরপর থেকেই পশ্চিমা কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার এবং রাশিয়ান ড্রোন পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য স্থলভাগে লোক সরবরাহ করার অভিযোগ করেছেন।
শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েক মাস আগে রাশিয়াকে অল্প সংখ্যক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান।
তেহরানে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক মাস আগেই আমরা রাশিয়াকে সীমিত সংখ্যক ড্রোন সরবরাহ করেছি।’
আর এরপরই নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইরানকে মিথ্যা বলার জন্য অভিযুক্ত করেন। সেই সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকেও মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, যদিও ইরান বলেছে, তারা কেবল রাশিয়াকে অল্প সংখ্যক ড্রোন সরবরাহ করেছে, কিন্তু ইউক্রেন প্রতিদিন প্রায় ১০টি করে ইরানি ড্রোনগুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ইরানকে সতর্ক করে জেলেনস্কি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলাফল বিপরীতমুখী হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, ইরানি প্রশিক্ষকরা রাশিয়ান সন্ত্রাসীদের ড্রোন ব্যবহারের কৌশল শিখিয়েছেন এবং তেহরান এ বিষয়ে নীরব রয়েছে।’
এদিকে ইউক্রেন সংঘাতে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য সবাই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বাঁধে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনে হামলায় ইরানের ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
এসএন