কুর্দিস্তানে হামলায় নিহত ৯, তুরস্ককে দুষছে ইরাক
কারবালার তুর্কি ভিসা কেন্দ্রের সামনে তুরস্কের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছে ইরাকিরা
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে একটি পার্কে বোমা হামলায় নয়জন নিহত হওয়ার জন্য তুরস্ককে অভিযুক্ত করছে ইরাক। এতে ওই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ইরাকি পর্যটক ছিলেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
বুধবার (২০ জুলাই) ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চল এবং তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর জাখোতে একটি পার্কে ভয়াবহ এ বোমা হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় কর্মকর্তারা তুর্কি বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন। ইরাক ইতোমধ্যে আঙ্কারা থেকে তাদের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে ফিরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে তুরস্ক বলছে, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে।
কুর্দি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে এক বছরের শিশুসহ বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে।
হাসান তাহসিন আলী নামে এক ভুক্তভোগী এ হামলাকে ‘নির্বিচারহীন বলে অভিহিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমাদের যুবকরা মারা গেছে, আমাদের সন্তানরা মারা গেছে, আমরা কার কাছে ফিরে যাব?
এ ঘটনায় ইরাক বাগদাদে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে তুরস্কের রাজধানী থেকে তার চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়েছে।
এক টুইটে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি বলেছেন, তুর্কি বাহিনী ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইরাকি শহর কারবালায় তুর্কি ভিসা কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভকারীরা তুর্কি পতাকা পুড়িয়েছে। বিক্ষোভ হয় বাগদাদ এবং নাসিরিয়াতেও।
কুর্দিশ প্রদেশে দক্ষিণের শহরগুলো থেকে অনেক পর্যটক অতিরিক্ত গরম সইতে না পেরে আসেন। এই এলাকাটি তুলনামূলক শীতল। এই পর্যটনস্থলগুলো তুরস্কের সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থিত।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ এপ্রিল) ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারার দাবি, কুর্দি সশস্ত্রগোষ্ঠী পিকেকে-এর বিভিন্ন স্থাপনা ও সদস্যদের গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে তুরস্কের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন। পাশাপাশি স্থল অভিযানে অংশ নিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আরএ/