শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে
বিক্ষোভের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে রনিল বিক্রমাসিংহকেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে তাকে হটাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। এর আগে তিনি একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া গোবাতায়া রাজাপক্ষে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুল্লাস আলাহাপেরুমে পেয়েছেন ৮২ ভোট।
পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হলেন এবারের প্রেসিডেন্ট। যদিও শ্রীলঙ্কায় সাধারণত জনগণের ভোটেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তবে এবার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশটিতে দ্রুততার সঙ্গে নেতা নির্বাচনের প্রয়োজন হওয়ায় বড় পরিসরে ভোটের আয়োজন বাদ দেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, সাবেক সাংবাদিক ৬৩ বছর বয়সী দুল্লাস আলাহাপেরুমা ও ৫৩ বছর বয়সী অনুরা দিসানায়েক। বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সরে দাঁড়ান।
এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে কার্যকর হয় এ আদেশ।
এর আগে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে।
১৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। এর পর শনিবার (১৬ জুলাই) প্রেসিডেন্ট পদটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য পদ ঘোষণা করেন দাসানায়েকে।
গত মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয় আন্দোলন-বিক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও ঢুকে পড়েন তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এসএন