সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশ বিনাশকারীদেরই দৌরাত্ম্য

পৃথিবী বাঁচাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে অনেদিন ধরে চলছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। ফসিল ফুয়েল, বিশেষ করে কয়লা থেকে সরে আসতে আহ্বান করা হয়েছে অধিক কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলোকে। জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আর অর্থায়নের বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে আগে।

এসব ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ৩১ অক্টোবর সম্মেলন শুরু হয়ে চলে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন বিশ্ব নেতা, পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

দুই সপ্তাহের দীর্ঘ আলোচনার পরও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি গ্লাসগো চুক্তি। লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান উৎস কয়লার ব্যবহার বন্ধ এবং এ খাতে সরকারের ভর্তুকি কমানো। কপ-২৬ এর আলোচনার খসড়া চুক্তিতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ভারত ও চীনের বিরোধিতার কারণে চূড়ান্ত চুক্তিতে রাখা হয়নি। কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ না করে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। বর্তমান প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে বলে ধরণা পরিবেশবিদদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর প্রায় ৪০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী কয়লা। ২০১৫ সালে গৃহীত প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নামাতে হবে।

গ্লাসগো চুক্তিতে জরুরি ভিত্তিতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আরও আর্থিক সহায়তার আহ্বান করা হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থ সহায়তা দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট কি না তা নিয়ে সন্দিহান পরিবেশবিদরা।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, 'আমাদের ভঙ্গুর গ্রহটি একটি সুতোয় ঝুলছে। আমরা এখনও জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় কড়া নাড়ছি। এটি জরুরি পদক্ষেপে যাওয়ার সময়। নতুবা বৈশ্বিক তাপমাত্রা শূন্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা শূন্য হয়ে যাবে।'

সুইস পরিবেশমন্ত্রী সিমোনেটা সোমারুগা হতাশার সুরে বলেন, 'আমরা গভীর হতাশা প্রকাশ করছি। কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকিতে আমরা যে লক্ষ্যে একমত হয়েছিলাম তা একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ফলে আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই চুক্তি আমাদের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির কাছাকাছি নিয়ে আসবে না, বরং এ সিদ্ধান্তে লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে যাবে।'

পরিবেশবাদীদের মতে, '১ দশমিক ৫ ডিগ্রি’ শব্দটি বলা অর্থহীন যদি চুক্তিতে এটি অর্জনের কোনো উপায় বা উপাদানের কথা না থাকে। কপ-২৬ দক্ষিণের দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর বলেও আখ্যায়িত করছেন কেউ কেউ।

কয়লা ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতা থাকলেও কিছু পর্যবেক্ষক চূড়ান্ত চুক্তিটিকে একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন।

তাদের মতে, প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নথিতে এই ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি বা কয়লার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সকলের প্রতি আশা ব্যক্ত করে বলেন, 'বিশ্ব গ্লাসগো সম্মেলনকে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাপ্তির সূচনা হিসেবে দেখবে।' চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি কিছু করার আছে। আজকের চুক্তিটি একটি বড় পদক্ষেপ। কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমানোর জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি এটি এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় সীমাবদ্ধ করার একটি রোডম্যাপ।'

মার্কিন জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি বলেন, 'আসলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন এড়াতে পরিষ্কার বায়ু, নিরাপদ জল এবং একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি।'

চুক্তিতে শুধু কয়লার কথা বলা হলেও তেল, গ্যাসসহ অন্যান্য জ্বালানির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য ছিল না। এ বিষয়েও সমালোচনা করছে অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন।

অ্যাকশন এইডের নীতি সংক্রান্ত পরিচালক লারস কচ বলেন, 'জ্বালানির মধ্যে শুধু কয়লার উল্লেখ করা হতাশাজনক। এতে ধনী দেশগুলোকে বিনামূল্যে পাস দেওয়া হলো। যারা তেল ও গ্যাস উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে।'

কয়লা 'ফেইস আউট' থেকে 'ডাউন':

এবারের সম্মেলনে জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতির প্রত্যাশা করেছিল সবাই।

খসড়া চুক্তিতে ২০৫০ সালের পর কয়লা 'ফেইস আউট' হবে এমন ভাষা পরিবর্তন করে 'ফেইস ডাউন' ব্যবহার করা হয়েছে। এর পেছনে ছিল ভারত ও চীনের বিরোধীতা।

খসড়া চুক্তিতে কয়লা ব্যবহার বন্ধে সরকারি ভর্তুকি বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথায় ভারত ও চীন বিরোধিতা করে। যার ফলে চুড়ান্ত চুক্তিতে তা রাখা সম্ভব হয়নি।

চীন আর ভারতের বক্তব্য হচ্ছে কয়লা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কয়লা থেকে। কাজেই তারা সময় চাচ্ছে।

ভারতের জলবায়ু মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশগুলো কীভাবে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে? যেখানে দেশগুলো এখনও উন্নয়ন এজেন্ডা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের সঙ্গে মোকাবেলা করে যাচ্ছে।'

ভারত বলছে, তাদের ২০৭০ সাল লাগবে। প্রত্যাশা ছিল তাদের ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লা থেকে সরে আসার।

কয়লা থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে হতাশা দেখা দেয় মারাত্মক। তারপরও কয়লা নিয়ে একেবারে আশাহত নন বিশেষজ্ঞরা।

সম্মেলন শেষে জলবায়ু বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার ফ্রানস টিমারম্যানস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম যে, কয়লা 'ফেইস আউট' শব্দ ব্যবহারের কারণে। কিন্তু তারপরও যেটা হলো আমি বলব ২৪ ক্যারটের পরিবর্তে ১৮ ক্যারট গোল্ড। তবুও এটি স্বর্ণ। অর্থাৎ জ্বালানি হিসেবে কয়লা থেকে সরে আসার ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ এটি।'

তার মতে, 'যেখানে ছয় মাস আগেও চীন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ কয়লার ক্ষতির বিষয়টি মানতেই নারাজ ছিল। কিন্তু আইপিসিসি রিপোর্ট দেওয়ার পর এখন সবাই একমত যে আমরা গভীর সংকটে। ওই দেশগুলো ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে।'

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০-এ রয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সম্মেলনে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮ দেশের জোট ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি বাংলাদেশ।

টিটি/

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যুতের বকেয়া জমে গেলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন মানিক সাহা। ভারতের বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিবেশী বাংলাদেশে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ত্রিপুরা।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানিক সাহা বলেছেন, ‌‌‌বাংলাদেশ আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ প্রায় ২০০ কোটি রুপি দেয়নি। বকেয়ার পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। আমরা আশা করছি, তারা বকেয়া পরিশোধ করবে; যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না হয়।

বকেয়া পরিশোধে ঢাকা ব্যর্থ হলে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কিছু যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভূখণ্ড অথবা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা হয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা হিসেবে ত্রিপুরা সরকার একটি চুক্তি মেনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।

কিন্তু আমি জানি না, বকেয়া পরিশোধ না করলে আমরা বাংলাদেশে কতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারব।

ত্রিপুরা ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। দক্ষিণ ত্রিপুরার পালাটানায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানির (ওটিপিসি) গ্যাস-ভিত্তিক ৭২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আরেক রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হওয়ায় গত আগস্টে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট থেকে সরবরাহ কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াট করে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশে কথিত হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ত্রিপুরায় প্রভাব ফেলছে কি না, জানতে চাইলে মানিক সাহা বলেন, প্রতিবেশী দেশটি থেকে এখনও ত্রিপুরা রাজ্যে বড় ধরনের কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারণ সীমান্তের অনেক এলাকা উন্মুক্ত। সেখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তবে আগস্টে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে বড় আকারে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি।

উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশ বেষ্টিত ত্রিপুরা। রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার; যা রাজ্যের মোট সীমান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে মানিক সাহা বলেন, তিনি এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা সহকারী হাইকমিশন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় যেসব পণ্য আসে তার মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, পাথর ও ইলিশ মাছ। সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এটা তাদের ক্ষতি।

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে রেললাইন চালু হলে তা উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত লাভজনক হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনও বাধা ছাড়াই ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হলে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে।’’

সড়কপথে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। গত বছরের ১ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়ার সঙ্গে আগরতলার সংযোগকারী একটি রেললাইন উদ্বোধন করেছিলেন। প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ভারতে ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতীয় অংশের ব্যয় ছিল ৭০৮ দশমিক ৭৩ কোটি রুপি। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বাংলাদেশ অংশের ব্যয় ছিল ৩৯২ দশমিক ৫২ কোটি রুপি। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থায়ন করে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সেটি বাস্তবায়ন করে।

Header Ad
Header Ad

হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শহীদ আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে তিনি এমন কথা বলে।

তিনি বলেন, গণহত্যাকারীদের আমরা বাংলার মাটিতে বিচার নিশ্চিত করব এই ঘোষণা দিয়েই আমরা এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। এক বিন্দু পরিমাণও আমরা পিছ পা হইনি। আমরা বিচার নিশ্চিত করবোই।

তিনি বলেন, যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ভাবছে বাইরে থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদেরকে বলব বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম বলেন, আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে যেন কোন ভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোন শহীদের পরিবারের বাবা-মাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে এতটুকু বলতে পারি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  

এমভি আল-বাখেরা জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে একটি পণ্যবাহী জাহাজে ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে ৫ জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, মৃমুর্ষ অবস্থায় আরও ৩ জনকে পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজন মারা গেছেন। ধারাণা করা হচ্ছে, তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (ঢাকা জোন) লে. কর্নেল শামস গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছ, জাহাজটির নাম ‘এমভি আল-বাখেরা’। এর মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জাহাজটিতে ডাকাতরা হামলা চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর বলেন, চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকার কাছাকাছি মেঘনা নদী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এমভি আল-বাখেরা নামক নোঙর করা অবস্থায় থাকা জাহাজে মরদেহগুলো গলাকাটা অবস্থায় দেখে আমাদের খবর জানায়।

নৌ পুলিশের ওই উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর আরও বলেন, যতদূর জেনেছি তা হচ্ছে ডাকাতরা ডাকাতির উদ্দ্যেশ্যে জাহাজ আক্রমণ করেন। পরে তাদের প্রতিহত করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলায় জবাই করে দেওয়া হয়। জবাইকৃত ৭ জনের সবাই জাহাজের স্টাফ। এদের একজনের অবস্থা গলা কাটা অবস্থায় আশঙ্কাজনক রয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা এবং নিহতেরা কারা সে সম্পর্কে এখনি সব বলা সম্ভব হচ্ছে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ