কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলি
নিজের অটোমেটিক সার্ভিস রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তিনজনকে আহত করে শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে আজ শুক্রবার দুপুরে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১০ জুন) পার্ক সার্কাস এলাকায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে। কমিশনারের অফিসের সামনেই কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। আত্মঘাতী ওই পুলিশকর্মীর নাম চোডুপ লেপচা (২৮) বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র চারদিন আগে তিনি বাংলাদেশ উপদূতাবাসের পুলিশ আউটপোস্টের ডিউটিতে যোগ দেন। আত্মঘাতী ওই পুলিশকর্মী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তাদের অনুমান।
ঘটনার পরপরই পুলিশের বড় একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য কেন গুলি ছুড়েছেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১২ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। উপদূতাবাসের কাউন্সিলর (কনস্যুলার) বশির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপদূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের এক সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে স্কুটি আরোহী এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন একজন পুরুষ। পরে নিজের বন্দুক দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই পুলিশ সদস্য।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এলোপাথাড়ি গুলি চালনার ঘটনায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সরফরাজ ও কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা বশির আলম নামে দুই জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বশিরের পিঠে গুলি বিঁধে রয়েছে। অন্য জনের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পরই কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্স তাঁদের নিয়ে রওনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের দিকে। সেখানেই আপাতত তাঁদের চিকিৎসা হবে।
এদিকে, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই এলাকায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিস থাকার জন্য এলাকায় সব সময় পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকেন। জানা গিয়েছে, ওই কর্মীও এদিন সেখানেই কর্তব্যরত ছিলেন। এদিন পুলিশ কিয়স্ক থেকে বেরিয়ে এসে সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। চার রাউন্ড গুলি চলেছে বলে দাবি করা হলেও আদতে ঠিক কত রাউন্ড গুলি চলেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র: আজকাল, আনন্দবাজার
এএজেড