ইউক্রেনকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টার ঘোষণা জার্মান চ্যান্সেলরের
ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭৭তম বছর স্মরণ করে রবিবার (৮ মে) তিনি ইউক্রেনকে সাহায্যের বিষয়টি তুলে ধরেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ঐতিহাসিক ৭৭তম বছরে জাতির উদ্দেশে জাতীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ সময় তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে সংঘটিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তৎকালীন নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেদিন সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে জার্মানি নাৎসিমুক্ত হয়েছিল, তার জন্য এখনো জার্মানির সাধারণ জনগণ কৃতজ্ঞ। বর্তমানে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে রক্ষায় সবকিছু করতে প্রস্তুত জার্মানি। সেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনারা যা করছে তা অগ্রহণযোগ্য ও অমানবিক।
তিনি আরও বলেন, ‘সমালোচকদের ধারণা দেশটিতে ভারী অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আমি গড়িমসি করছি, আসলে তা নয়। আমরা কোনোভাবেই যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে চাইনি, আর চাইব না।’
এ সময় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, “আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, আরেকটা ‘৮ মে’ যেন আমাদের জন্য না আসে। আর কোনোদিন যাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো এমন ভয়াবহ যুদ্ধে জার্মানি জড়িয়ে না যায়। কখনোই নয়। আর কোনোদিন যাতে গণহত্যার মতো ঘটনা না ঘটে। একই সঙ্গে এটিও বলতে চাই, বর্তমানে ইউক্রেনে পুতিন যা করছে, তাতে তিনি এই যুদ্ধে কখনোই জয়ী হতে পারবেন না। পুতিন ইচ্ছে করলেই ইউক্রেনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিতে পারেন না। রুশ বাহিনীর এই অভিযান ঠিক সে সময়ের নাৎসি বাহিনীর মতোই।”
বক্তব্যে তিনি ইউক্রেনের জন্য সবরকমের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ৪ লাখ সর্বহারা উদ্বাস্তুকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।’
এ ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভারী অস্ত্র সরবরাহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বুশমাস্টার সাঁজোয়া ট্যাংক, বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারিসহ রাডার ইনস্টলেশন মেশিনসহ ভারী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টিও জাতির উদ্দেশে তুলে ধরেন শলৎজ।
এ সময় তিনি ন্যাটোর পক্ষ থেকে নতুন আরেক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার পক্ষেও মত প্রকাশ করেন।
এসএ/