ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সাবেক স্বৈরশাসকের ছেলে
ফিলিপাইনে আজ সোমবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ১০ জন। তবে মূল লড়াই হবে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রোব্রেদোর মধ্যে।
সোমবার (১০ মে) ভোরে ভোট শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ ঘণ্টা পর। সবশেষ জনমত জরিপ অনুসারে, ফিলিপাইনের ক্ষমতায় আবারও ফার্দিনান্দ পরিবারে ফেরত আসার সম্ভাবনা বেশি। ১৯৮৬ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ। স্বৈরশাসকের তকমা ঘোচাতে তার ছেলের তিন দশক সময় লেগেছে।
সাবেক বক্সিং তারকা ম্যানি প্যাকিয়াও, ম্যানিলার মেয়র ইসকো মোরেনো এবং সাবেক জাতীয় পুলিশপ্রধান সেন প্যানফিলো ল্যাকসনসহ আরও আট প্রার্থী ভোটার-অভিরুচি সমীক্ষায় অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।
মার্কোস জুনিয়রের বাবা ছিলেন প্রয়াত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস, যিনি দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন এবং লৌহ দৃঢ়তায় বছরের পর বছর দেশটি শাসন করেছিলেন।
মার্কোস, তার স্ত্রী ইমেলদা ও তাদের বন্ধুদের কিছু সম্পত্তি জব্দ করে তা বিক্রি করা হয়েছিল। পরে সেই অর্থ ফিলিপিনো সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়। সে সময় অসদুপায়ে অর্জিত সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল ‘প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন ফর গুড গভর্নেন্স’। বলা হয়, ওই কমিশন ৩৩০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছে।
বাবার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে মার্কোস জুনিয়র নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে তার শৈশবের ডাকনাম ‘বংবং’ বা ‘বিবিএম’ এবং তার বাবার ছবি ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া ৬৪ বছর বয়সী এই প্রার্থী তার বাবার কয়েক দশকের শাসনামলকে সমৃদ্ধি এবং জাতীয় গৌরবের সময় হিসেবে উত্থাপন করেছেন। অথচ ওই সময়টা ছিল দুর্নীতিতে ভরা, দীর্ঘসময় ধরে চলা সামরিক শাসনের আমলে বিরোধী পক্ষকে অপদস্থ করা হয়েছে, যা ওই সময়ের ফিলিপিনো প্রজন্মের জন্য ছিল বেদনার বিষয়। মার্কোস জুনিয়র এসব বিষয় এড়িয়ে গেছেন।
ফিলিপাইনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লাখ। নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ৩০ জুন। নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে থাকবে রদ্রিগো দুতের্তের মাদক অভিযানের অজুহাতে বিচারবহির্ভূত হত্যার দায় সামলানোর চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে নতুন রাষ্ট্রপ্রধানকে।
এসএ/