মহারাষ্ট্রে কমানো হলো মসজিদের মাইকের আওয়াজ
ভারতের মুম্বাই নগরীসহ মহারাষ্ট্রের মসজিদে মাইকের ভলিউম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৮ মে) রাজ্যের পশ্চিমে অবস্থিত নয় শতাধিক মসজিদের মাইকের আওয়াজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আলেমরা।
ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আজানের ভলিউম ওই শহরে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। ফলে কোন সহিংসতা হওয়ার আগেই আলেমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এর আগে গত এপ্রিলে হিন্দুত্ববাদী দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার নেতা রাজ ঠাকরে বলেছিলেন, মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়গুলো অনুমোদিত শব্দ সীমার মধ্যে রাখা উচিত। যদি তারা সেই কাজটি না করে তাহলে তার অনুসারীরা মসজিদের বাইরে হিন্দুদের প্রার্থনা সঙ্গীত বাজাবে।
মুম্বাইয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘যদি ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় হয়, তাহলে কেন মুসলমানদের (বছরের) ৩৬৫ দিন লাউডস্পিকার ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়?’ আমার প্রিয় হিন্দু ভাই-বোন ও মায়েরা একত্রিত হন; এই লাউডস্পিকারগুলো নামিয়ে আনতে এক হোন।’
ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে মুসলিম নেতারা ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মুক্তভাবে ইবাদতের অধিকারের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন।
এরপরও মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে ঠাকরের মতো ছোট দলের নেতার দাবি মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুম্বাই শহরের অন্যতম প্রবীণ আলেম আশফাক কাজী।
মুম্বাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভিএন পাতিল বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আমরা কাউকে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে দেব না এবং আদালতের আদেশ অবশ্যই মান্য করা উচিত।’
আজানের জন্য মাইক ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়টি মহারাষ্ট্রের বাইরেও ঘটেছে। ভারতের তিনটি রাজ্যে বিজেপির নেতারা স্থানীয় পুলিশকে মসজিদের মাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
এসএ/