কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৬৬
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জুমার নামাজের সময় মসজিদের ভেতর শক্তিশালী এক বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৬৬ জনের মরদেহ একাধিক হাসপাতালে আছে। এ পর্যন্ত ৭৮ জন আহত হয়েছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ ঘটনার খবর জানা যায়।
রমজানে আফগানিস্তানে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে এটি ছিল সর্বশেষ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র বেসমুল্লাহ হাবিব ১০ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে বলেন, কাবুলের পশ্চিমে খলিফা সাহিব মসজিদে এ বিস্ফোরণ হয়।
সুন্নি মুসলিমদের ওই মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন জিকির করছিলেন, তখন সেখানে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মসজিদের প্রধান সৈয়দ ফাজিল আগা বলেন, তাদের ধারণা জিকিরে অংশ নেওয়া একজন আত্মঘাতী হামলাকারী এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
সৈয়দ ফাজিল আগা রয়টার্সকে বলেন, বিস্ফোরণের পর সব জায়গা দিয়ে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। দেখা যায় চারদিকে শুধু মরদেহ পড়ে আছে। গতকালের বিস্ফোরণে তার ভাইয়ের ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে প্রাণে বেঁচে গেছি, কিন্তু আমার প্রিয় একজনকে হারিয়েছি।’
আহত ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সাবির বলেন, বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল, মনে হচ্ছিল কানের পর্দা ফেটে গেছে।
আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ওই বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। তবে হামলা কে বা কারা করেছে, তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোনো গোষ্ঠীও হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তবে গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে যেসব প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন, এর মধ্যে কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর শহর মাজার-ই-শরিফে শিয়া মুসলিমদের বহনকারী যাত্রীবাহী দুটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত নয়জন নিহত হন।
এর আগে গত শুক্রবার কুন্দুজ শহরে জুমার নামাজ চলার সময় একটি সুন্নি মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ৩৩ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন।
টিটি/