মাখোঁর জয়ের পর প্যারিসে বিক্ষোভ
দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই এ বিক্ষোভ হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর প্যারিসের শ্যাতেলেটে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। তারা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করা হয় এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ হচ্ছে। দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করছে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে।
প্রধানত শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। প্যারিসের সরবন এলাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমানুয়েল মাখোঁ কিংবা মারিন ল্য পেনের কাউকে পছন্দ করেন না বলে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।
গতবারের মতোই ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন ল্য পেনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মাখোঁ। ইমানুয়েল মাখোঁর আগে মাত্র দুই জন ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন।
ল্য পেন পরাজয় স্বীকার করে নিলেও আগামী জুন মাসের পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে মুক্তির বাতাস বয়ে যেতে পারত। তবে ব্যালট বাক্স বিষয়টাকে অন্যভাবে চেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের ফলাফল একটা উজ্জ্বল জয়ের আভাস।’
এর আগে ১০ এপ্রিল প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে ডান-বাম এবং মধ্যপন্থী মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেন। এই ধাপে জয় পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মাখোঁ। সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন লা পেন। তৃতীয় হন জ্যা-লুক মেলেনচন। তিনি পেয়েছিলেন ২০ শতাংশ ভোট।
ফ্রান্সের নির্বাচনী বিধি অনুসারে, প্রথম রাউন্ডে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ড বা রান-অফে অংশ নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী রান-অফে অংশ নেন। নিয়মানুসারে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন মাখোঁ ও ল্য পেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়) দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়)।
এসএ/