ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: চূড়ান্ত লড়াই আজ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল)। ক্ষমতাসীন ইমানুয়েল মাখোঁ থেকে মাত্র কয়েক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টির মারিন ল্য পেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এখন ল্য পেন বিজয়ী হলে, ইউরোপের নিরাপত্তার উপর তার বড় প্রভাব পড়তে পারে।
ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে৷ ফলাফল যা-ই হোক না কেন, ইমানুয়েল মাখোঁ স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে ভোটারদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
মেরুকরণ ও তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনি প্রচার শেষে পাঁচ বছর দেশ শাসন করার জন্য আজ লড়ছেন ইমানুয়েল মাখোঁ ও মেরিন ল্য পেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২০ এপ্রিল (বুধবার) এক তুমুল টেলিভিশন বিতর্কে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, মারিন ল্য পেনের কট্টর ডানপন্থী দলটির সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্কের বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ল্য পেনের ন্যাশনাল র্যালি পার্টি ২০১৪ সালে রাশিয়া থেকে একাধিক বার ঋণ গ্রহণ করে। তার মধ্যে রয়েছে, ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কিত ফার্স্ট চেক রাশিয়ান ব্যাংকের ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি ঋণ।
ল্য পেন বলেন, ‘এটি সবার ভালো করেই জানা আছে যে, ফ্রান্সের ব্যাংকগুলো তাকে ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তাই তাকে আর্থিক সাহায্যের জন্য রাশিয়ার শরণাপন্ন হতে হয়।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানালেও, ন্যাশনাল র্যালি পার্টির ৫৩ বছর বয়সী এই নেতা, ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যাপারে ততটা সমালোচনা মুখর ছিলেন না। ইউক্রেনকে নেটো সদস্যদের ভারী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও সমালোচনা করেন তিনি এবং বলেন, জোটটির সাথে ফ্রান্সের সংযোগ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।
ল্য পেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমি নেটোর সমন্বিত কমান্ড ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসব, তবে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটির যৌথ নিরাপত্তা বিষয়ক ৫ম ধারার প্রয়োগ অগ্রাহ্য করব না।’
ল্যাঙ্কাসটার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রান্সের রাজনীতি বিষয়ক বিশ্লেষক রেনো ফোকার্ট মনে করেন, ‘ল্য পেনের বিজয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা ঐক্যকে ব্যাপকভাবে দুর্বল করে তুলবে।’
এদিকে, ল্য পেন অনেক বছর ধরেই ফ্রান্সের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। তবে এখন তিনি বলছেন, কথিত ‘ফ্রেক্সিট’ তার নীতির অংশ নয়।
এসএ/