কাশ্মীরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
ভারতঅধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু শহরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। একটি সেনা চৌকির কাছে আহত হয়েছেন আরও চারজন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জম্মু সফরের দুই দিন আগে এ ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায় এনডিটিভির প্রতিবেদনে।
দিনের আলো ফোটার আগেই জম্মু শহরের সুনজোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসীরা শহরটিতে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল।
আগামী রবিবার জম্মু সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানকার পাল্লি গ্রামে বিশাল এক জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন। ওই সমাবেশে হাজারো পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিত থাকার কথা আছে। ২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এটি ওই এলাকায় মোদির প্রথম রাজনৈতিক সফর।
মোদির জম্মু সফরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে ওই এলাকায় টহল জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যেই ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কাছে সন্ত্রাসীদের অবস্থান করার খবরে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিল, সুনজোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অন্তত দুজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। এর ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করলে তুমুল গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যান তারা। এতে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক সহকারী উপপরিদর্শক নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও চারজন। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধ চলমান।
জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা এখানে লুকিয়ে আছে এবং তৎপরতা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে খবর পাওয়ার পর আমরা এলাকাটি ঘিরে ফেলি। সকালে বাহিনীর ওপর গুলি চালানো হলে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত ও চারজন আহত হন। বন্দুকযুদ্ধ এখনও চলছে।’
এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনজোয়ান ক্যান্টনমেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন।
গত মাস থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত চার পঞ্চায়েত সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন অভিবাসীশ্রমিক আহত হয়েছেন।
গতকাল বারামুল্লা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে লস্কর–ই–তৈয়বার এক শীর্ষ কমান্ডারসহ তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া এ অভিযান চলমান। নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা, ওই এলাকায় আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে।
টিটি/