যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের আয় বেশি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক আয় বেশি। গত ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার) গত বছরের আয়কর দাখিলের তথ্য বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ২০২১ সালে ৬ লাখ ১০ হাজার ৭০২ ডলার আয় করেছেন। এ সময়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৫ ডলার কর দিয়েছেন তারা। এদিন হোয়াইট হাউজ এ তথ্য জানায়। ২০২০ সালের তুলনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট দম্পতির কর দেওয়ার পরিমাণ প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কমেছে দানের পরিমাণ। ২০২০ সালে ৩০ হাজার ৭০৪ ডলার দান করেছিলেন তারা। গত বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৯৪ ডলারে।
শিশু নির্যাতনবিরোধী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বাইডেন ফাউন্ডেশনে ৫ হাজার ডলার দান করেছেন জো বাইডেন দম্পতি। এ ছাড়া দুটি ক্যাথলিক চার্চেও অনুদান দেওয়া হয়েছে এ পরিবার থেকে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের বেতন ও নর্দান ভার্জিনিয়া কলেজে জিল বাইডেনের চাকরি থেকে এসেছে এ পরিবারের অধিকাংশ উপার্জন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, মার্কিন জনগণের কাছে বাইডেন তার আয়ের বিষয়টি উন্মুক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে আরও একবার দেশের জনগণের প্রতি স্বচ্ছ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের আয়ের তথ্য জানাতে বারবার অনীহা প্রকাশ করেছিলেন।
২০২১ সালে কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী সেকেন্ড জেন্টেলম্যান এমহফের আয় ছিল প্রায় ১৭ লাখ ডলার। তারা ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন তাদের মোট আয়ের ৩৬.৭ শতাংশ হারে ৬ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ ডলার। অর্থাৎ এ দম্পতির মোট আয় ছিল ১.৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে ২০২০ সালে বাইডেন দম্পতির আয় কমেছে। ২০১৯ সালে বাইডেন দম্পতির আয় ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ২৩৩ ডলার। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকা ও করোনার কারণে ব্যবসায় লাভ কম হয়েছে বলে জানান জো বাইডেন।
এর আগে ২০২১ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ট্যাক্স ফাঁকিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য কখনোই তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চান না। অথচ বাইডেন-কমলা জুটিতে এজন্য ন্যূনতম অনুরোধ বা আহ্বান জানানো হয়নি। ২০২০ সালে বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন দম্পতির নেট আয় ছিল ৬ লাখ ৭ হাজার ৩৩৬ ডলার। এজন্য তারা ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন মোট আয়ের ২৫.৯ শতাংশ হিসেবে ১ লাখ ৫৭ হাজার ডলার। কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী অর্থাৎ সেকেন্ড জেন্টেলম্যান ডোগ অ্যামহোফ ফেডারেল ট্যাক্স দিয়েছেন তাদের মোট আয়ের ৩৬.৭ শতাংশ হারে ৬ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ ডলার। অর্থাৎ এ দম্পতির মোট আয় ছিল ১.৭ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে ২০২০ সালে বাইডেন দম্পতির আয় কমেছে। ২০১৯ সালে বাইডেন দম্পতির আয় ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ২৩৩ ডলার। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকা ও করোনার কারণে ব্যবসায় লাভ কম হয়েছে বলে জানান জো বাইডেন।
ট্যাক্স রিটার্নকালে বাইডেন সেবামূলক কাজে ৩০ হাজার ডলার ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করেন। অপরদিকে কমলা হ্যারিস সেবাখাতে ২০২০ সালে ব্যয় করেন ২৭ হাজার ডলার। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে অপসারিত হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছরই প্রত্যেক প্রেসিডেন্ট তাদের ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেনও গত ২৩ বছর ধরেই তার ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছেন।
এমএমএ/