মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পররাষ্ট্র ও দৈন্য অর্থনীতির চাপে শাহবাজ সরকার

সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান সরকারের পতন হয়। ক্ষমতায় আসে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। তবে এ সরকারের সামনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতকে ইতিবাচক সংকেত দিয়েছেন। তবে এখনই এ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবার অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একইভাবে বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তার সরকার কতটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। একই সঙ্গে তিনি চীনের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নে জোর দেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্বল করার জন্য ইমরান সরকারের সমালোচনা করেন। এই বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) অগ্রগতি লাভ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শাহবাজ শরিফকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। কারণ, সদ্যবিদায়ী ইমরান খানের অধীন সেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ইমরান প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন, পেছন থেকে যুক্তরাষ্ট্র কলকাঠি নেড়ে বিরোধী জোটগুলোর মাধ্যমে তাকে বিদায় করেছে। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ করে যুক্তরাষ্ট্র তার পতনে অংশ নিয়েছে।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের একজন সিনেটর ও সিনেটের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারপারসন মুশাহিদ হোসেন সাঈদ বলেছেন, গত মাসে আসলে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে যা ঘটেছে, সেটি একটি সাময়িক বিপর্যয়। পূর্ববর্তী শাসনামলের শেষদিকে পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্কের অবনতির দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, সংযোগ, সন্ত্রাসবাদ, আফগানিস্তান, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামরিক সম্পর্কের মতো পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিত্তিতে আরও স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়তে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রকে এক হতে হবে।

চীন প্রসঙ্গে মুশাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শরিফ তার প্রথম কার্যদিবসে ‘চীন-পাকিস্তানের শক্তিশালী বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারের’ কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিপিইসি প্রকল্প পাকিস্তানের গতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে এবং শরিফের অধীন দুই দেশের সম্পর্ক আরও জাগ্রত ও টেকসই হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি ঐতিহ্যগতভাবে সামরিক সংস্থা দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হয়ে আসছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান ও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে দেশটির সামরিক বাহিনী বিশেষভাবে সতর্ক থাকে। বেশিরভাগ দেশ নিরাপত্তার কারণে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া একটি বার্তায় বলেছিলেন, ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতা থেকে যদি বাদ না পড়ে, তাহলে এর ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে।

ইমরান খান গদি হারানোর পর পাকিস্তানের রাজপথে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকা পুড়েছে। সামনের দিনগুলোতে তারা শরিফকে মার্কিন মদদপুষ্ট ‘পুতুল’ হিসেবেই দেখবেন।

পিটিআই সিনেটর নওমান ওয়াজির বলেছেন, শরিফ সরকার স্বল্পস্থায়ী হবে এবং সম্ভবত এই বছর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেয়ে নতুন সরকারের উচিত আঞ্চলিক পদ্ধতি অনুসরণ করা। তাদের রাশিয়া, চীন, ইরান, মালয়েশিয়া ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

ইমরান খানের মার্কিনবিরোধী বক্তব্য দেশটির সেনাবাহিনীও ভালোভাবে নেয়নি। তাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার পেছনে সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল। সম্প্রতি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের সম্পর্কের অবনতি হয়।

গত ১৪ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইমরানের মার্কিনবিরোধী তত্ত্ব খণ্ডন করে সেনাবাহিনীকে অপদস্থ এবং সশস্ত্র বাহিনী ও নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা থেকে পিটিআইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি চায়নি। ইমরান খান বিতর্কিত দাবি করেছেন।

এদিকে শাহবাজ শরিফ বাণিজ্যের অবনতি, বিপুল বাজেট ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ ব্যাপক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। দ্রুত ক্ষয় হওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝাও তার জন্য বেশ উদ্বেগের।

পাকিস্তানের রাজস্ব ঘাটতিও দিনে দিনে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। আর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছয় শতাংশের কিছুটা বেশি হতে পারে। আগের সরকারের আমলেও ঠিক এই হিসাব করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি রাজস্ব বছরে তা ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে বলে দাবি করা একটু অতিরিক্তই হয়ে যাবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বলছে, বর্তমান অর্থবছরে পাকিস্তানের বাহ্যিক অর্থায়ন পরিচিত উৎসগুলো থেকেই পুরোপুরি পূরণ করতে হবে।

দেশটির অর্থনীতি যে মারাত্মক সংকটে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ যে অর্থনীতি পেয়েছিল, বর্তমানে তা আরও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। এই ঘটনাকে অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। আগের সরকার তৃতীয় দফায় ধনীদের কর মওকুফ করায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণসহায়তা দিতে বিলম্ব করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা।

চীনও আড়াইশ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দেওয়ার অঙ্গীকার করেও সময় নিচ্ছে। তারা পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল যখন প্রত্যাশামতো ফিরে আসে, তখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছে অঙ্গীকার রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেন মিফতাহ ইসমাইল। চীনও সাহায্যের হাত বিস্তৃত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এভাবে বাড়তে শুরু করেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, অর্থনীতিকে জোরালোভবে পুনরুজ্জীবিত করতে পাকিস্তানের নতুন শাসকেরা বড় কাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে কিনা। তা নিশ্চিত করতে হলে রাজস্ব খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি করের মাধ্যমে রাজস্ব আয় আরও সম্প্রসারিত করতে হবে, ক্ষমতাবানদেরও ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কর আদায় করতে হবে। ধনীরা যাতে কর না দিয়ে রেহাই পেয়ে না যান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আয় ও ব্যয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনতে স্টিল মিল ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারিকরণ করতে হবে। রফতানি চাঙ্গা করাসহ আমদানির অর্থ পরিশোধের জন্য উল্লেখযোগ্য উৎপাদন বাড়াতে শাসন ও নীতিগত সংস্কারে মনোযোগ দিতে হবে। এসব রাজস্ব ও উৎপাদনশীলতা সংস্কারে জোট সরকারের হাতে খুব সময়ও নেই। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ীভাবে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঠামোগত পরিবর্তনে এই সরকারকেই হাত দিতে হবে।

এ সরকারের সফলতা নির্ভর করবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও নিপীড়নের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা না আসার উপর। বিভিন্ন সেবামূলক খাতে ভর্তুকি কীভাবে বিন্যাস করা হবে, এর অর্থের জোগান কীভাবে আসবে–এসব বিষয় শাহবাজ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। যা এ সরকারের টিকে থাকা না থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত।

এসএ/

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি