আল-আকসায় ইসরায়েলি হামলা, দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত
ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ফজরের নামাজের সময় মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে হাজারো মুসল্লির উপর হামলা চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। এ হামলায় দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রমজানের শুরু থেকেই আল-আকসা মসজিদসহ পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরেই ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরই ধারাবাহিকতায় আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালানো হয়।
মসজিদ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে জড়ো হন সহস্রাধিক মুসল্লি; কিন্তু নামাজ শেষ হতে না হতেই অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। কয়েক ঘণ্টা ধরে মসজিদের আঙিনায় ও নামাজের স্থানে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
বেশ কয়েকটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করে মসজিদের আঙিনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ছাদে উঠে মুসল্লিদের উপর গুলি চালায়। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য আসা চিকিৎসকদের সেখানে যেতে বাধাও দেয় তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখানে চিকিৎসক, সাংবাদিক, মসজিদের স্বেচ্ছাসেবক এবং নারীদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজন সাংবাদিকও রয়েছেন। এ ছাড়া এক শিশুকেও আটক করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, দেড় শতাধিক মানুষকে মসজিদ থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলিরা হামলা চালিয়ে যাওয়ায় আরও লোককে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব জেরুজালেমের আল-মাকাসেদ হাসপাতাল জানিয়েছে, আল-আকসায় আহত ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর আহত।
পূর্ব জেরুজালেম এলাকাটি মুসলিম এবং ইহুদি উভয় ধর্মের কাছেই অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। প্রায়ই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বড় সংঘাতের শুরু হয় এখান থেকে। গত বছর রমজানজুড়েই এ এলাকায় অস্থিরতা ছিল। এবারও একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এসএ/