মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডনবাস ঘেরাও করে ফেলছে রাশিয়া

ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছিল রুশ বাহিনী। পরে সেখান থেকে সেনাদের পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন ডনবাস অঞ্চলকে ঘিরেই রাশিয়া পুরো যুদ্ধের রণকৌশল সাজিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধ বহুদিন ধরে চলতে পারে। ইতিমধ্যে মারিউপোল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুতিন যখন ডনবাসের কথা বলেন, তখন তিনি ইউক্রেনের কয়লা ও ইস্পাত উৎপাদনকারী অঞ্চলের কথাও উল্লেখ করেন। পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ দুটো অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কও এর অংশ। দক্ষিণের মারিউপোল বন্দর থেকে শুরু করে উত্তরে রুশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলটি।

ব্রিটিশ সংসবাদমাধ্যম বিবিসির জানায়, এখনও সেখানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পরাজয় ঘটেনি। তারা শক্তভাবে টিকে আছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে সুপ্রশিক্ষিত বাহিনীগুলো ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ গত আট বছর ধরে সেখানে রুশপন্থীদের সঙ্গে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে।

যুদ্ধে কিয়েভের সামরিক বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘প্রতি মিটার জমির জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মতে, এই অঞ্চল দখল করে নেওয়ার মাধ্যমে দোনেৎস্ক থেকে ক্রিমিয়া পর্যন্ত দক্ষিণ উপকূলে একটি স্থল করিডোর স্থাপন করতে চায় রাশিয়া। ব্রিটেনে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের স্যাম ক্র্যানি-ইভান্স বলেন, ‘অঞ্চলটিকে রুশভাষীদের অংশ বলে শনাক্ত করেছে ক্রেমলিন। যার অর্থ এই অঞ্চলের অধিকার ইউক্রেনের চেয়েও অনেক বেশি রাশিয়ার।‘’

পোল্যান্ডের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোচান কনসাল্টিংয়ের প্রধান কনরাড মুজাইকা বলেন, ‘মারিউপোল একসময় ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বেশি রুশপন্থী শহরগুলোর একটি। এটি এমন মাত্রায় ছিল, যা আমরা কল্পনাও করতে পারব না। তবে এখনকার অবস্থা ভিন্ন।’

দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর রাশিয়ার দাবি, তারা লুহানস্কের ৯৩ শতাশ ও দোনেৎসকের ৫৪ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখন পুরো অঞ্চল দখলে নিতে হলে রুশ প্রেসিডেন্টকে আরও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি একসময় বিজয় অর্জনও করেন, তখনও ওই বৃহৎ অঞ্চলে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে না।

পুতিন বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলে গণহত্যা চালিয়েছে। যুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন পূর্বদিকের এসব অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ ছিল ইউক্রেনের হাতে। বাকি অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিয়ন্ত্রণ করতো। আট বছর আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে সেখানে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বিদ্রোহীরা।

ইতিমধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়া যদি এই দুটো বৃহৎ অঞ্চল জয় করতে পারে, পুতিন তাহলে দেখাতে পারবেন যে, এই যুদ্ধ থেকে তিনি কিছু একটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ডনবাসকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করে নেওয়া। ২০১৪ সালে বিতর্কিত এক গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে তিনি ঠিক যেভাবে রাশিয়ার অংশ করে নিয়েছেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ১০টি ব্রিগেড নিয়ে জয়েন্ট ফোর্সেস অপারেশন নামে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছে, তাতে দেশটির সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সৈন্যরা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

৫০ দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ৫১তম দিন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।

এসএ/

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি