লকডাউনে পার্টি করায় জরিমানার মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে লকডাউন চলাকালে পার্টি করায় জরিমানার মুখে পড়তে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও চ্যান্সেলর রিশি সুনাক। এছাড়া জরিমানা গুনতে হবে বরিসের স্ত্রী ক্যারি জনসনকেও। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দুই নেতাকে জরিমানার অঙ্ক জানিয়ে আরেকটি নোটিশ দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে কয়েক দফায় পার্টির আয়োজন করা হয়। যদিও সে সময় সাধারণ মানুষের জন্য কোথাও সমবেত হওয়া দূরের কথা, একজনের আরেকজনের কাছাকাছি আসায়ও নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বিবিসি বলছে, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ করোনাবিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হলে ১২টি জনসমাগমের অভিযোগ তদন্ত করছে। এসব ঘটনায় এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে।
পুলিশের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, গত বছর যুক্তরাজ্যে কোভিড লকডাউন চলার সময় ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হলে বেআইনি পার্টি করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছিল, তার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। আর এজন্য জরিমানা করা হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন বরিস জনসন ও রিশি সুনাক তাদেরই সরকারের তৈরি আইন লঙ্ঘন করে জনসমাগমে যোগ দিয়েছিলেন।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে কোন ঘটনায় জরিমানা করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরএ/