দুপুরে ভোটাভুটি, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেহবাজ
পাকিস্তানের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদ পার করতে পারেননি। ইমরান খানও এর বাইরে নন। শনিবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে বিদায় নেওয়ার পর পাকিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল নিশ্চিত হয়েছে। তখন থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল–শেহবাজ শরিফ হতে যাচ্ছেন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খানকে সরাতে গঠিত বিরোধীদের জোটের প্রধান শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান শেহবাজ শরিফ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জাতীয় পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে শাহ মাহমুদ কুরেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে পার্লামেন্ট থেকে গণপদত্যাগের বিষয়ে পিটিআই সদস্যরা দ্বিধাবিভক্ত।
সোমবার (১১ এপ্রিল) নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি হবে। বিরোধীরা অবশ্য আগেই শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।
ইমরান খান সরকারের আমলে পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় ছিলেন শেহবাজ। ইমরান বিরোধী আন্দোলনেও নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর বন্দি করা হয় তাকে। পরবর্তীকালে নির্বাসনে ছিলেন সৌদি আরবে। ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যূত হলে পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন শেহবাজ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সভাপতি নিযুক্ত হন। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও হন। সেই সময় দক্ষ হাতে একাধিক চীনা প্রকল্পের কাজ সামলেছেন। এ ছাড়াও ইমরান সরকারের আমলে বিরোধী নেতার ভূমিকায় ছিলেন।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর শনিবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের মসনদ থেকে অপসারিত হন ইমরান। তার গদিচ্যুত করার পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্টের ১৭৪ সদস্য। ভোটাভুটির সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান। ছিলেন না তার দলের কোনো সদস্যও। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মধ্যরাতেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান ইমরান।
এসএ/