মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তানের ‘ক্যারিশমাটিক’ প্রধানমন্ত্রীর পতন হলো যে কারণে

২০১৮ সালে ইমরান খান যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু তারই পক্ষে কাজ করছে। ক্রিকেট খেলার সেই দিনগুলো থেকেই তিনি একজন জাতীয় বীর, আইকন। তারপর তার রূপান্তর একজন ‘ক্যারিশম্যাটিক’ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে।

বহু দশক ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে গেঁড়ে বসা প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পরিবারকে বেশ সংগ্রামের পর অপসারণ করতে পেরেছেন ইমরান।

আবেদনময় সব গান নিয়ে প্রাণবন্ত রাজনৈতিক সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোরালো উপস্থিতিসহ তার আবির্ভাব হয়েছিল দুর্নীতিবিরোধী নতুন শক্তি হিসেবে। তিনি পরিবর্তন আর নতুন পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

ইমরানের দল পিটিআই পাকিস্তানে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের সমাবেশগুলো জনতায় পরিপূর্ণ থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সরব উপস্থিতি। এসবের মাধ্যমে তিনি তাঁর দৃঢ় দুর্নীতিবিরোধী বার্তার বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হন।

ইমরান অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি তাঁর দেশে পরিবর্তন আনবেন। একটি নতুন পাকিস্তান গড়বেন।

পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীই কখনো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তবে ইমরানকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি সম্ভবত তা পারবেন।

যেসব কারণের আলোকে ইমরানের অবস্থান সুরক্ষিত মনে হয়েছিল, সেই একই কারণ তাঁর পতন ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে কথিত আছে। তবে উভয় পক্ষই এ কথা অস্বীকার করে। এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের সেই সম্পর্ক চুকে গেছে বলে প্রতীয়মান হয়।

নিঃসন্দেহে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরানের উল্লেখযোগ্য ও বাস্তবিক জনসমর্থন ছিল। কিন্তু পাকিস্তানে যাকে ‘স্টাবলিশমেন্ট’ বলা হয়, সেই সেনাবাহিনীর দিকে থেকেও নির্বাচনে তাঁর প্রতি গোপন সমর্থন ছিল।

ইমরানের শাসনামলে দেশটির সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই সমালোচকেরা ইমরানের সরকারকে একটি ‘হাইব্রিড শাসনামল’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে ইমরানের দলত্যাগী এক সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, ‘তিনি (ইমরান) তাদের (সেনাবাহিনী) দ্বারাই তৈরি। তারাই তাঁকে ক্ষমতায় এনেছিল।’

ইমরানের প্রধান প্রতিপক্ষ নওয়াজ শরিফ। তাঁকে প্রথমে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পরে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অনেকের সন্দেহ, নওয়াজ অতীতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে নওয়াজের শাস্তির আসল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ।

ক্ষমতায় আসার পর ইমরান গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন, নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনি ও সেনাবাহিনী একই মতাদর্শের অধিকারী।

ইমরানের এমন ঘোষণা নাগরিক সমাজের কর্মীদের উদ্বিগ্ন করে। ইমরানের শাসনামলে তাঁর সরকার ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই—উভয়ের সমালোচনাকারী সাংবাদিক-ভাষ্যকারেরা হামলা-অপহরণের শিকার হন। ইমরানের সরকার ও সেনাবাহিনী উভয়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। কিন্তু কোনো অপরাধীকে কখনোই শনাক্ত করেনি ইমরান সরকার।

ইমরানের সরকার পাকিস্তানে সুশাসনের উন্নতির বিষয়ে জোর দিয়েছিল। সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে দারুণ কিছু কাজ করেছেন ইমরান। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তানের একটা বড় অংশে স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প চালুর কথা বলা যায়।

তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমরান হোঁচট খান। যেমন দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য রাজনৈতিক নবাগতকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর এ সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমালোচনা ও উপহাস কুড়ায়।

ইমরানের আরও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তাঁর শাসনামলে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়েছে। ডলারের বিপরীতে পতন ঘটেছে পাকিস্তানি রুপি।

ইমরানের সমর্থকেরা এ পরিস্থিতির জন্য বৈশ্বিক অবস্থাকে দায়ী করেন। কিন্তু এ কথা সত্য, পাকিস্তানে ইমরানের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বাড়ছিল।

একসময় ইমরানের বিরোধীরা সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় ক্রমশ সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা এমনকি সেনাবাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের নাম ধরে ধরে বলতেন, কে কে ইমরানকে ক্ষমতায় এনেছেন।

কিন্তু পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে গত বছর। বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক বিবিসিকে বলেছেন, সুশাসন দিতে ইমরানের ব্যর্থতা, বিশেষ করে পাঞ্জাবের পরিস্থিতি দেশটির সেনাবাহিনীকে ক্রমশ হতাশ করে। ইমরানকে ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁর বিরোধীরা যেভাবে জনসমক্ষে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে আসছিল, সম্ভবত তা থেকেও বের হতে চাইছিল ‘স্টাবলিশমেন্ট’।

ইমরানের পতনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও আইএসআইয়ের প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। ফাইজ পরবর্তী সেনাপ্রধান হতে আগ্রহী ছিলেন বলে ব্যাপকভাবে কথিত ছিল।

হামিদ স্পষ্টতই তাঁর সেনাপ্রধান হওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ফাইজ প্রতিবেশী আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের আগেই বলেছিলেন, তিনি সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, হামিদকে এমন একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, যিনি নোংরা কাজগুলো কার্যকরভাবে করতে পারতেন। যেমন রাজনীতিবিদদের বশে আনা কিংবা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা। কিন্তু তাঁকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়নি।

বাজওয়া ও ফাইজের মধ্যকার বিরোধ গত অক্টোবরে তীব্র আকার ধারণ করে। এর বিরোধী ইমরানও জড়ান। বাজওয়া আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নতুন একজনকে চাইছিলেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ফাইজের সঙ্গে ইমরান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তিনি দৃশ্যত আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্বে রাখতে চেয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ফাইজ আবার ইমরানের বিজয় নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধানের পরামর্শ মেনে আইএসআইয়ের প্রধান পদে নিয়োগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আইএসআইয়ের প্রধান পদে সেনাপ্রধানের পছন্দের ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিতে ইমরান বিলম্ব করছিলেন। সেনাবাহিনী ও ইমরান সরকারের মধ্যকার সম্পর্কের এ দৃশ্যমান ফাটল বিরোধীদের উৎসাহিত করে।

বিরোধীরা যখন অনাস্থা ভোটের পরিকল্পনা শুরু করে, ইমরানের দল ও জোটের মিত্রদের থেকে সাংসদদের সম্ভাব্য পক্ষত্যাগের বিষয়ে বলতে থাকে, তখন বেশ কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলে, সামরিক বাহিনী বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এবার ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিতে যাচ্ছে।

ইমরানের দলের একজন পক্ষত্যাগী সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, ফাইজ আইএসআইয়ের প্রধান থাকাকালে তিনি ও অন্য সাংসদেরা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছ থেকে ফোন পেতেন। তাঁদের কী করতে হবে, সে বিষয়ে গোয়েন্দা নির্দেশনা দিতেন। তাঁদের নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হতো। আইএসআইয়ের প্রধান পদ থেকে ফাইজকে সরিয়ে দেওয়ার পর এ ধরনের ফোনকল বন্ধ হয়। এখন আর সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করছে না।

তবে পাকিস্তানি সাংবাদিক কামরান ইউসুফ বিবিসিকে বলেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ইমরানের মিত্রদের ‘ম্যানেজ’ করার সঙ্গে সেনাবাহিনী জড়িত ছিল। সেনাবাহিনীর এ সমর্থন হারালে ইমরানের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

ইমরান ও সেনাবাহিনীর মধ্যে আরও বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়, বিশেষ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে। ইউক্রেন আগ্রাসনের জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নিন্দায় অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইমরান। অন্যদিকে সেনাপ্রধান বাজওয়া গত সপ্তাহে বলেন, ইউক্রেনে রুশ হামলা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ভারত ইস্যুতেও ইমরানের সঙ্গে বাজওয়ার বিরোধ তৈরি হয়েছিল।

ইমরান বারবার অভিযোগ করে আসছেন, পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্র) নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। কারণ হিসেবে তিনি তাঁর সরকারের পশ্চিমাবিরোধী পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেন। তবে বেশির ভাগ বিশ্লেষক এ অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জন’ বলে নাকচ করেন।

সৌজন্যে: বিবিসি

এসএ/

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান। তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা এ আন্দোলনে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া য়ায়। নিহতদের মধ্যে চারজন দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্য এবং অন্য দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া উত্তাল পাকিস্তানে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক পুলিশ সদস্য। বিক্ষোভ ও মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী। এমন অবস্থায় রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে দেশটির শেহবাজ সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দুর্বৃত্তদের কঠোরভাবে মোকাবিলায় সহায়তা করার অনুমতি দিয়েছে।

তবে সব বাধা উপেক্ষা করে গতকাল সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে পিটিআই নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে চলমান বিক্ষোভের জেরে দুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে পাকিস্তানজুড়ে। বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়ার লক্ষ্যে ইসলামাবাদের আশপাশের সব মহাসড়কে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। এরই মধ্যে পিটিআইয়ের পাঁচ এমপিসহ চার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইসলামাবাদে পার্লামেন্ট অভিমুখে পিটিআইয়ের এবারের পদযাত্রাকে “চূড়ান্ত আহ্বান” বলে অভিহিত করেছেন ইমরান খান। গত বছরের আগস্টে পিটিআইয়ের এই প্রতিষ্ঠাতাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দলটি।

Header Ad

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘনা ঘটে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় একটি অবৈধ ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরো অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের রফিক মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু মিয়া, সফরজান বেগম ও সাজু মিয়া।

ওসি আরো জানান, ট্রেনের ধাক্কায় নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করবেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার