মধ্যরাতে সরকারি বাসভবন ছাড়েন ইমরান খান
অনাস্থা ভোটে হেরে গেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। বাংলাদেশ সময় শনিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় প্রস্তাবের উপর ভোটগ্রহণ শুরু হলে প্রস্তাবের পক্ষে ১৭৪ ভোট পড়ে। যেখানে প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোট। ভোটগ্রহণ শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে ইসলামাবাদের বনি গালা এলাকার নিজ বাড়িতে যান ইমরান খান।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির ফল ঘোষণার পরপর পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তার মন্ত্রীসভার তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়।
ইমরান খানের প্রধান সচিব আজম খানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট সচিবালয়। পৃথক প্রজ্ঞাপনে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের ‘অনাপত্তিপত্র’ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ইসলামাবাদের বনি গালায় নিজের বাড়িতে যান ইমরান খান। এক টুইটার বার্তায় ইমরান খান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী লেখেন, ‘পাকিস্তানের জন্য বিষাদের দিন। লুটেরারা ফিরে এসেছে। ঘরে ফিরলেন একজন ভালো মানুষ।’
সরকারি বাসভবন ছাড়ার আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘একটি কলুষিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একা লড়াই করছি। হয়তো জেলে যাব, কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাব।’
এর আগে মধ্যরাত থেকে জমে ওঠে পাকিস্তানের পলিটিক্যাল থ্রিলার। প্রায়শ রাতের আঁধারে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য পরিচিত দেশটিতে শনিবার রাত ১২টা থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠে সুপ্রিম কোর্ট ও ইসরামাবাদ হাইকোর্ট। যানবাহনের আনাগোনা বাড়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাসভবন, সেনাসদর ও পার্লামেন্ট চত্বরে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল রাত ১২টায় তার এজলাস খুলতে সুপ্রিম কোর্টের কর্মীদের নির্দেশ দেন। একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছান ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ।
এসএ/